বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবশেষে হাসি ফুটল শাহরুখ খানের (shahrukh khan) মুখে। টানা ২৬ দিন পর মাদক কাণ্ডে মুক্ত হল ছেলে আরিয়ান খান (aryan khan)। গত ২ রা অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী একটি ক্রুজে হানা দিয়ে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো আরিয়ান সহ আরো আট জনকে আটক করে। ৮ অক্টোবর জেল হেফাজতে নেওয়া হয় আরিয়ানকে। তারপর থেকে একাধিক বার জামিন খারিজের পর অবশেষে ২৮ অক্টোবর মাদক কাণ্ডে স্বস্তি পেল শাহরুখ পুত্র।
স্বাভাবিক ভাবেই মুখে হাসি ফুটেছে বাবা শাহরুখের। ছেলের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরেই আইনজীবীদের দলের সঙ্গে লেন্সবন্দি হন তিনি। এতদিন পর ফের কিং খানের হাসিমুখ দেখা গেল। বুক থেকে যে একটা ভার নেমে গিয়েছে তা তাঁর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে ও তাঁর দলের সঙ্গে হাসিমুখে লেন্সবন্দি হয়েছেন শাহরুখ।
আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জামিনের রায় শুনে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন শাহরুখ। তাঁর লড়াই সফল হয়েছে। তিনি আরো দাবি করেন, যেহেতু আরিয়ানের থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি তাই এই গ্রেফতারি প্রথম থেকেই বেআইনি ছিল। আজ কালের মধ্যে বম্বে হাইকোর্ট আনুষ্ঠানিক রায় দিলেই আইনজীবীর দল আরিয়ানকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে পারবেন।
আরিয়ান সহ মাদক কাণ্ডে অভিযুক্ত আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাও কাল জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার NCB র তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং নিজের বক্তব্য পেশ করেন। তিনি দাবি করেন, আরিয়ান অনেকদিন আগে থেকেই মাদক সেবন করে আসছে। সুপ্রিম কোর্টও মাদকের ব্যবসাকে জঘন্যতম অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছে। অনিল সিং আরো দাবি করেন, অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্টের জুতো থেকে NCB চরস উদ্ধার করেছিল। এ বিষয়ে আরবাজ NCB কে জানিয়েছেন, তিনি চরস নিয়ে এসেছিলেন ক্রুজ পার্টিতে এবং আরিয়ানকে বলেছিলেন ‘ব্লাস্ট’ হবে।
কিন্তু আরিয়ানের থেকে কোনো মাদক পায়নি NCB। এ প্রসঙ্গে অনিল সিং বলেন, মাদক পাওয়া না গেলেই যে সে অপরাধী নয় এমনটা বলা যায় না। পালটা শাহরুখ পুত্রের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি প্রশ্ন করেন, যারা আরিয়ানকে ক্রুজ পার্টিতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি কেন? তাঁর বক্তব্য, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু আরিয়ান ও আরবাজ পরিচিত মুখ। তাই ষড়যন্ত্রের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এরপরেই আদালত জামিনের রায় শোনায় তিন অভিযুক্তকে।