বাংলাহান্ট ডেস্ক: আরো এক প্রতিভাবান অভিনেতাকে পেল টলিউড। জিতু কামাল (jeetu kamal) প্রমাণ করে দিলেন ধৈর্য, একাগ্রতার জোরে সত্যজিৎ রায়ের মতো আইকনিক একজন ব্যক্তির চরিত্রকেও নিজের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা যায়। আর শুধু কথার কথা নয়, কাজে করে দেখিয়েছেন অভিনেতা। ‘মানিকদা’র লুকে চমক দিয়ে সব বাঙালির মন জয় করে নিয়েছেন জিতু।
সাদা ধুতি পাঞ্জাবি, হাতে সিগারেট ধরার ভঙ্গি বা ক্যামেরার লেন্সে চোখ রাখা, স্বয়ং সত্যজিৎ রায় যেন উঠে এসেছেন জিতুর মধ্যে। পরিচালক অনীক দত্তর আগামী ছবি ‘অপরাজিত’য় মুখ্য চরিত্র অর্থাৎ ‘অপরাজিত’র জন্যই এই লুক অভিনেতার। সত্যজিৎ রায়ের আদলেই বানানো হয়েছে চরিত্রটি।
এত সাফল্য হঠাৎ করেই আসেনি। রাতদিন খেটে পরিশ্রম করতে হয়েছে। সঙ্গে থেকেছেন জিতুর স্ত্রী নবনীতা দাসও (nabanita das)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন কীভাবে জিতু হয়ে উঠলেন সত্যজিৎ। ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম বাজার আগে উঠে বসে থাকতেন নবনীতা। স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও উঠে পড়তেন সমস্ত জিনিস হাতের কাছে এগিয়ে দেওয়ার জন্য। ফুলহাতা জামা, দু তিন কাপ চা থেকে শুরু করে বাড়িতে ওয়ার্কশপের জন্য মেকআপটাও করে দিতেন নবনীতাই।
চা দিতে দেরি হলে বা রান্নার মাঝে শব্দ হলে চেঁচিয়ে উঠতেন জিতু। আসলে সেই সময় যেন একটা ঘোরের মধ্যে থাকতেন তিনি। কাজটা ঠিকঠাক না উতরাতে পারলে শান্তি পাচ্ছিলেন না। বুঝতেন নবনীতা। তিনিও একজন অভিনেত্রী। তাই ওই দিনগুলোর বকাঝকা, তর্ক বিতর্ক মেনে নিয়েই তিনি বার্তা দিয়েছেন, ‘চলো, আছি, আরো রাত জাগার জন্য।’ নেটিজেনরা নবনীতার প্রশংসা করে বলেছেন, নিজের বিজয়া রায়কে পেয়েই গিয়েছেন সত্যজিৎ রূপী জিতু।
জিতু নিজেও জানিয়েছেন কতটা পরিশ্রমের পর এই লুকটা খাড়া করা গিয়েছে। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে নিজের সঙ্গেই সত্যজিতের ঢঙে কথা বলতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে খেটেছেন পরিচালক অনীক দত্তও। অপরাজিত তে বিমলা রায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন সায়নী ঘোষ। আগে মুখ্য চরিত্রে আবিরকে ভাবা হলেও তাঁর তারিখ নিয়ে সমস্যা হওয়ায় জিতুকে নেওয়া হয় ছবিতে।