বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শার্লক হোমসের ‘দ্য ম্যান উইথ দ্য টুইস্টেড লিপস’ এই গল্প অনেকেই শুনেছেন। সেখানে চাকরি ছেড়ে ভিক্ষাজীবীতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এক রীতিমতো শিক্ষিত ব্যক্তি। এবার ফের একবার এমনই এক ঘটনা উঠে এল উত্তরপ্রদেশের বারানসী ঘাট থেকে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ঘাটে কয়েকদিন আগেই এমন এক মহিলার সন্ধান মিলেছে, যিনি ভিক্ষা করেই নিজের দিন গুজরান করছেন।
অথচ এই মহিলা ইংরেজিতে ভীষণরকম পারদর্শী, তার ইংরেজি শুনলে রীতিমত তাজ্জব হয়ে যেতে হয়। ময়লা পোশাক পরা এই মহিলাকে ঘাটে বসে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখেই আগ্রহী হয়ে পড়েন বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির ছাত্র। নেহাত কৌতুহলবশে ওই ভিখারি মহিলার সঙ্গে তিনি কথা বলা শুরু করলে সামনে আসে তার আসল পরিচয়। জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম স্বাতী। তিন বছর আগে তিনি বেনারস ঘাটে চলে আসেন। তারপর থেকে এভাবেই ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন গুজরান করছেন তিনি।
কিন্তু কেন তার এই দশা, স্বাতী জানিয়েছেন তার আসল বাড়ি দক্ষিণ ভারতে। তিনি ইংরেজি শিক্ষিত, ইংরেজি টাইপিং জানেন এছাড়া কম্পিউটার সফটওয়্যার সম্পর্কেও তার জ্ঞান রয়েছে। স্কুলের পড়া শেষ করে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রীও লাভ করেছিলেন তিনি। এরপর তার বিবাহও হয়। কিন্তু তারপরেই জীবনে নেমে আসে এক ভয়ঙ্কর পরিণতি। গর্ভধারণের পর যখন তিনি একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তখন তার শরীরের ডান অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়।
https://www.facebook.com/avanish.tripathi.39/videos/207490721511936/
এরপর তিনি অনুভব করেন তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে উঠেছেন। দিনরাত লোকের গঞ্জনা শ্য করতে না পেরে একদিন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। ঘুরতে ঘুরতে কোন ভাবে তিনি চলে আসেন এই বেনারস। তারপর থেকে ঘাটের ধারে শুয়েই তার জীবন কাটছে। দর্শনার্থীদের অনেকেই তাকে খাবার-দাবার দিয়ে যান, অনেকে আবার দিয়ে যান কাপড়ও। স্বাতী জানিয়েছেন, তিনি চান না এভাবে ভিক্ষা করে জীবন কাটাতে বরণ করতে চান কোন একটা চাকরি। কিন্তু এই শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চাকরি শুরু করাও কঠিন কাজ। আর সেই কারণেই বাধ্য হয়ে তাঁকে করতে হচ্ছে এই কাজ।