বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা রিয়েলিটি শো তে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন। এবার জাতীয় মঞ্চে বাংলার নাম উজ্জ্বল করতে পৌঁছেছেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক (snigdhajit bhowmik)। জুরি বোর্ডের সদস্যদের থেকে বিচারকদের সকলকে মুগ্ধ করে টপ ১৬ তে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মেগা অডিশন শেষ হতেই নিজের গ্রামের বাড়িতে সকলকে সারপ্রাইজ দিতে পৌঁছেছিলেন তিনি। ভিডিও শেয়ার করতেই একপ্রস্থ নেতিবাচকতা ধেয়ে এল স্নিগ্ধজিতের দিকে।
গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার গোটা ভিডিওটা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। নিজের গোল্ড ও সিলভার মেডেলগুলি একে একে বাবা, মা ও স্ত্রীর গলায় পরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল স্নিগ্ধজিৎকে। কিন্তু ভিডিওতে গায়কের মা বাবার মুখে হাসি থাকলেও একটু বিষন্ন দেখাচ্ছিল স্ত্রী অদিতিকে।
বিষয়টা নজর এড়ায়নি নেটিজেনদের। সঙ্গে সঙ্গে কমেন্ট আসে, স্ত্রী সম্ভবত স্বামীর সাফল্যে খুশি নন। উত্তর দিতে ভোলেননি স্নিগ্ধজিৎ। তিনি স্পষ্ট বলেন, যতক্ষণ না ভুলটা ভাঙাতে পারছেন ততক্ষণ তাঁর শান্তি হচ্ছে না। শুরু থেকেই স্নিগ্ধজিতের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন স্ত্রী অদিতি। নিজের রক্ত বিক্রি করে তানপুরাও কিনে দিয়েছেন তাঁকে। সেই মানুষটা স্বামীর এই সাফল্যে খুশি হবে না তো কে হবে?
https://www.instagram.com/tv/CWFbTYAMScQ/?utm_medium=copy_link
স্নিগ্ধজিৎ জানান, সেদিন তিনি মুম্বই থেকে কলকাতা আসার পর অদিতি সারারাত জার্নি করে গ্রামের বাড়ি থেকে কলকাতায় তাঁকে নিতে এসেছিলেন। তারপর ফের স্নিগ্ধজিতের সঙ্গে ২০ ঘন্টা জার্নি করে গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। শরীরের এত ধকল নিয়েও যে অদিতি হেসেছেন স্নিগ্ধজিৎ তার জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন স্ত্রীকে। তাঁর সাফল্যে অদিতি খুশি হবে না এটা ভাবা নেটনাগরিকদের ভুল বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
২০১৯ এ বাংলা সা রে গা মা পার প্রতিযোগী হয়েছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। সেবারে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন তিনি। কিন্তু জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই টপ ১৬ তে জায়গা দখল করে ফেলেছেন তিনি। জি টিভির সা রে গা মা পার বাছাই পর্বেই স্নিগ্ধজিতের সুরেলা কণ্ঠে মুগ্ধ সকলে। বিচারক বিশাল ডাডলানি নিজে এসে মেডেল পরিয়ে দিয়েছেন তাঁর গলায়।
বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বিচারক ও জুরি সদস্যের প্রভূত প্রশংসার পর আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। মঞ্চে দাঁড়িয়েই চোখ ভিজে ওঠে তাঁর। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্ত্রী অদিতির সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেন তিনি। স্ত্রীকে মেডেল দেখান স্নিগ্ধজিৎ, অভিনন্দন জানান অদিতি। স্নিগ্ধজিৎ ছাড়াও জাতীয় মঞ্চে প্রতিযোগিতায় রয়েছেন, অনন্যা চক্রবর্তী, কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়, নীলাঞ্জনা রায়, দীপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা।