বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘লক্ষী ভাণ্ডারের জন্য বর্তমানে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, তাই অন্য খাতে বেশি ব্যয় করা যাবে না’, মধ্যমগ্রামে (madhyamgram) প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়কদের এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে বললেন, কাজ করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথাও।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে, তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই বিধায়কদের ধমক দিয়ে টাকা না চেয়ে কাজ করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কাজ না করায় তীব্র ভর্ৎসনাও করলেন পিডব্লুউডিকে।
বৈঠকে চাকলা, কচুয়া ধামের কাজ অসম্পূর্ণ থাকা নিয়ে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে অবিলম্বে দ্রুতই তাঁর এলাকার মন্দির নির্মানের কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন পুরসভাগুলির কাজ নিয়েও। আবার শোনেন বিধায়কদের সমস্ত অভিযোগের কথাও।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিধায়ক, সাংসদ, জেলাশাসক-সহ অন্যান্যারা। সেখানেই কেউ কেউ জানান জলের সমস্যার কথা, আবার কেউ জানান নালা সংস্কারের কথাও। সকলের কথা শুনলেও, মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘লক্ষী ভাণ্ডারের জন্য বর্তমানে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, তাই অন্য খাতে বেশি ব্যয় করা যাবে না। পরে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে’।
আবার এই বৈঠকেই অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর নালা সংস্কাররের আবেদন শুনে কিছুটা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কাজ দেখানোর জন্য মিটিং-এ যা খুশি দাবি করলেই তা তো আর দেওয়া যায় না।এটা প্রশাসনিক সভা, আগে নিজেরা কাজ করুন, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের দাবি জানান। শুধু টাকা চাইলেই হয় না, আগে কাজ করে দেখান। নিয়মিত এলাকাবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে বিধায়কদের’।