অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাচ্ছেন, ভারতীর ওজন কমার ট্রান্সফরমেশন দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুন্দর দেখানোর জন‍্য তারকারা কত কিছুই না করেন। কেউ উঠেপড়ে লেগে যান ডায়েট কন্ট্রোল করে রোগা হওয়ার জন‍্য, আবার কেউ প্লাস্টিক সার্জারি করান কাঙ্খিত ফিগার বা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন‍্য। যদিও দ্বিতীয় কাজটা করতে গিয়ে অনেকেই ট্রোলের শিকারও হন। তবে কঠোর পরিশ্রমের মূল‍্য কিন্তু একসময়ে ঠিক মেলে। যেমন পেলেন কমেডিয়ান ভারতী সিং (bharti singh)। কঠোর ডায়েট করে ওজন ঝড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ভারতীর হাস‍্যরসের ভক্ত সকলেই। নিজের বাড়তি ওজন নিয়ে মজা করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না তিনি। তবে এখন সময় বদলাচ্ছে। বিয়ে থা করেছেন ভারতী। ফ‍্যামিলি প্ল‍্যানিংয়েরও চিন্তা ভাবনা করছেন। আর তার জন‍্য বাড়তি মেদ ঝড়িয়ে ফিট হওয়া স্বাস্থ‍্যের পক্ষে খুবই জরুরি।

Transformation of Bharti Singh 1280x720 1
তার উপরেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন ভারতী। সেপ্টেম্বরেই ১৫ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন তিনি! তবে ১৫ কেজি কমিয়েই থেমে থাকেননি ভারতী। নিজের ডায়েট মেনেই খাবার দাবার খাচ্ছেন, শরীরচর্চা করছেন। তার ফলও চোখের সামনেই দেখতে পেয়েছে সকলে।

সম্প্রতি স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়ার সঙ্গে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন ভারতী। টুইনিং করে লাল পোশাকে দেখা গিয়েছে দুজনকেই। লাল সিক‍্যুইনের পোশাকে ধরা দিয়েছেন ভারতী, পাশে সাদা শার্ট, কালো প‍্যান্ট ও লাল ব্লেজারে লেন্সবন্দি হয়েছেন হর্ষ। ছবিতে ভারতীর আগের ও এখনকার চেহারার মধ‍্যে পার্থক‍্যটা স্পষ্ট চোখে পড়ছে।

bharti singh weight loss main g
নেটিজেনরা কমেন্ট বক্স ভরিয়ে দিয়েছেন প্রশংসায়। এই পরিমাণ ট্রান্সফরমেশনের জন‍্য যে অদম‍্য মনের জোর আর ইচ্ছাশক্তি লাগে তাতে কোনো দ্বিমত নেই। অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন ভারতী। ওজন কমানোর গোটা প্রক্রিয়াটা ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভারতী ঠিকই করে নিয়েছেন ফিট না হয়ে থামবেনই না।

ইন্টারমিটেট ফাস্টিং অনুসরণ করছেন ভারতী। এই প্রক্রিয়ায় সন্ধ‍্যা সাতটার আগেই রাতের খাবার খেয়ে নেন তিনি। তারপর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত আর কিচ্ছু খান না। এভাবেই কমিয়েছেন ১৫ কিলো ওজন।

https://www.instagram.com/p/CWPxf5HoELw/?utm_medium=copy_link

ভারতীর কথায়, গত ৩০-৩২ বছর ধরে অনেক খাবারই খেয়েছেন। এবার না হয় একটু নিয়ন্ত্রণ করলেন। এতে প্রচুর উপকারও পেয়েছেন বলে জানান ভারতী। ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার সমস‍্যা আর নেই। আগের থেকে অনেক হালকাও লাগে। আগে যেমন বাড়তি ওজনের জন‍্য হাঁসফাঁস লাগত, শ্বাস নিতে কষ্ট হত এখন আর সেটা হয় না।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর