বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলায় হ্যাটট্রিকের পর এবার তৃণমূলের নজরে ত্রিপুরা (tripura) পুরভোট। সেই নির্বাচনে বাজি মারতে ঘন ঘন পড়শি রাজ্যে হাজির হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এই করতে গিয়েই বহুবার আক্রমণেরও শিকার হয়েছে সবুজ শিবির। ঐবার ফের পুলিসি ঝামেলায় জড়ালেন যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh)।
রবিবার ভোট প্রচারে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছেন সায়নী, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা। সকলেই রয়েছেন পোলো টাওয়ার হোটেলে। রবিবার সকালে হোটেলে হানা দেয় স্থানীয় পুলিস। উদ্দেশ্য, সায়নীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া।
তাদের অভিযোগ, সায়নীর গাড়ি একজনকে ধাক্কা মেরেছে। আহত হয়েছেন তিনি। তাই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যেতে হবে। এই নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। রুখে দাঁড়ান কুণাল ঘোষ। সায়নীকে আটক করার জন্য আইনি নোটিস কোথায়? প্রশ্ন তাঁর।
তাঁর দাবি, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই বারবার পুলিস পাঠাচ্ছে। পুলিসকে হাতের মুঠোয় পুরে রেখেছে। তবে তিনি এও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সায়নীকে নিয়ে থানায় যাবেন তিনি। পালটা সায়নীরও দাবি, পালিয়ে যেতে আসেননি তিনি। মুখোমুখি লড়াই করার জন্য এসেছেন। কী জন্য থানায় ডাকা হয়েছে, কী বৃত্তান্ত তা জানতেই যাবেন তিনি।
খবর মিলেছে, পুলিস হোটেল ঘিরে রেখেছে। সায়নীকে নিয়ে থানায় রওনা দেবেন কুণাল ঘোষ। এর আগেও ত্রিপুরা এসেছেন সায়নী। বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। সে রাজ্যে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তের উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছিলেন তিনি।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে (biplab deb) তীব্র ভর্ৎসনা করে সায়নী টুইট করেছিলেন, ‘আপনার মরে যাওয়া উচিত। আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত নিজের থেকে অর্ধেক বয়সের তরুণ নেতাদের আক্রমণ করতে। বিশ্বাস করুন আমরা যখন বলছি তখন আপনাকে এবং আপনাদের দলকে ত্রিপুরার মানচিত্র থেকে মুছে দেব। কথা দিচ্ছি আমরা।’