বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পর কেটে গিয়েছে ১০ বছরেরও বেশি সময়। তারপর ভারত খেলে ফেলেছে আরও দুটো একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ। কিন্তু ২০১১-এর সফলতার পুনরাবৃত্তি হয়নি। ধোনি, যুবরাজ, সচিন-দের পাশাপাশি সেই সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিলেন তৎকালীন ভারতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কার্স্টেন। আজ তার জন্মদিন, ৫৪ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। মাত্র ৭ মিনিটের আলোচনায় তাকে ভারতের কোচ হিসেবে নিয়োগ করে নিয়েছিলেন নির্বাচকরা। বিশ্বকাপ জেতানোর পাশাপাশি ভারতকে টেস্ট ক্রিকেটে ১ নম্বর স্থানে নিয়ে যাওয়ার পেছনেও ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ভারত ছাড়াও কোচিং করিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট দল-কে। কোচিং করিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান বিগ ব্যাশে-র দল হোবার্ট হ্যারিকেনস এবং আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলকে।
খেলোয়াড় হিসেবেও দুর্দান্ত ছিলেন গ্যারি। মোট ১০১ টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। যায় সময় ৪৫ গড়ে মোট ৭২৮৯ রান করেছিলেন। ৩৪ টি অর্ধশতরানের পাশাপাশি করেছিলেন ২১ টি শতরান। এর পাশাপাশি খেলেছিলেন ১৮৫ টি ওয়ান ডে। ১৩ টি শতরান সহ করেছিলেন ৬৭৯৮ রান। বিশ্বকাপের মঞ্চে করা তার অপরাজিত ১৮৮ রানের ইনিংস দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বকাপের এক ইনিংসে কোনও ব্যাটারের করা ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। পরবর্তীকালে ২০১৫ বিশ্বকাপে তার রেকর্ড ভাঙেন ক্রিস গেইল এবং মার্টিন গাপ্টিল।
তবে তার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় মাইলফলক হিসাবে থেকে যাবে কোচ হিসেবে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো। তার সেই সাফল্যর জন্য পরবর্তীকালে তিনি আইপিএলে কোচিং করানোর সুযোগ পান। কিন্তু সেখানে ২ টি মরশুম কোচিং করিয়েও কোনও সাফল্য পাননি গ্যারি। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে আবারও একবার আইপিএলের মঞ্চে তাকে কোচ হিসাবে দেখা যেতে পারে।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী আইপিএল ২০২২-এ তাকে দেখা যেতে পারে লখনৌ-এর নতুন ফ্যাঞ্চাইজি ডাগ আউটে। তার সঙ্গে মৌখিক কথাবার্তা ইতিমধ্যেই বলে রেখেছে আইপিএসজি গ্রূপ। তিনি একা নন, তার সহকারী হিসাবে থাকতে পারেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার আশীষ নেহেরা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১১ এর পর আরও একবার একইসাথে ড্রেসিংরুমে দেখা যাবে নেহেরা এবং গ্যারি-কে।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট