জোর করে জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে সরকার, ভাঙড়ে কৃষক আন্দোলন ঘিরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যে জমি ছিল তাঁদের রুজিরুটি, বছরের পর বছর যে জমিতে চাষবাস করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন তাঁরা, এবার সেই জমি হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে একজোট হল ভাঙড়ের (bhangar) চাষিরা (farmer)। ভাঙড়ের বামনঘাটার কৃষকরা মঙ্গলবার সকালেই নিজেদের জমি বাঁচাতে মাঠে নামলেন।

সাহেব ভেড়ি নামে এক এলাকায় ৬৭ বিঘা জমিতেই গোটা এলাকার চাষীরা চাষ করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন। চাষিদের অভিযোগ সেচ দফতর ও কেএমসি জোর করে সেখানকার প্রায় ২৭ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে। আর সেই কারণেই বামনঘাটা বাজার সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষোভ ও মিছিল করেন কৃষকরা।

vbvbvb 2

সূত্রের খবর, ১৯৬২ সালে পঞ্চানন নস্কর নামে এক ব্যক্তি সেচ দফতর এলাকার প্রায় ৬৭ বিঘা জমি নিজের নামে রেকর্ড করে সাধারণ মানুষের কাছে লিজ দিয়ে দেয়। সেই থেকেই সেখানেই চাষবাস করেন চাষীরা। এখন চাষীরা অভিযোগ করেছে, তাঁদের কিছু না জানিয়েই ২৪ তারিখে সেচ দফতরের আধিকারিক ও কেএমডিএর আধিকারিকরা সাহেবভেড়িতে এসে জমি মাপঝোপ করতে শুরু করেন।

কৃষকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বিষয়টা জানতে চায়। কিন্তু তাঁদের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ এলাকা ছাড়া করে দেয়, এমনটাই অভিযোগ করেছে চাষীরা। এই বিষয়ে কৃষকদের পক্ষেই রয়েছেন বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমরেশ মণ্ডল। তিনিও এভাবে কৃষকদের না জানিয়ে জমি নেওয়ার বিরুদ্ধেই রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগে পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় উত্তাল আন্দোলনের পর আবারও ভাঙড়ে বিদ্রোহের মেঘ দেখা দিয়েছে। উঠেছে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর