বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিহাসে এমএ, রয়েছে বিএড-এর শিক্ষাগত যোগ্যতাও। কিন্তু আজকের দিনে রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন দুর্গাপুরের (durgapur) কাঁকসার মৃত্যুঞ্জয় রায়। আর্থিক অনটন দূর করতে সকালে সবজি বিক্রি করে, বেলায় এক সরকারি স্কুলে আংশিক সময়ের শিক্ষকতাও করেন মৃত্যুঞ্জয় রায়।
কোন কাজকেই ছোট করে দেখা উচিৎ নয়- একথা মেনে নিয়েই এভাবে সংসার চালাচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়। ইতিহাসে এমএ করার পর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে অর্জন করেছেন বিএড ডিগ্রিও। কিন্তু পেলেন না চাকরি। সরকারি চাকরির আশায় আশায় কেটে গেল বেশ কয়েকটা বছর।
২০১৬ সাল থেকে একটি স্থানীয় সরকারি স্কুলে আংশিক সময়ের ইতিহাসের শিক্ষকতা করতেন। মাসে বেতন পেতেন ১৮০০ টাকা। কিন্তু ওই অল্প টাকায় সংসার চালানো দুস্কর হওয়ায়, পেটের টানে শুরু করলেন সবজির ব্যবসা। সকালে সবজি বিক্রি করে, বেলায় স্কুলে শিক্ষকতা করেন মৃত্যুঞ্জয়।
করোনা আবহে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায়, বন্ধ হয়ে তাঁর শিক্ষকতাও। যার ফলে এতো মাস ধরে বন্ধ ছিল বেতনও। আর সেই কঠিন সময়টা দাঁতে দাঁত চেপে স্থানীয় দেবশালা অঞ্চলে একটি বাজারে সকাল বিকেল দুবেলা সবজি নিয়ে বসতেন মৃত্যুঞ্জয় রায়।
এখন করোনা আবহ কাটিয়ে উঠে আবারও খুলতে শুরু করেছে স্কুল কলেজ। যার ফলে সকালে সবজি বিক্রি করে, বেলার দিকে আবারও যাচ্ছেন স্কুলে শিক্ষকতা করতে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে মৃত্যুঞ্জয়ের আর্জি, সম্মানজনক সাম্মানিক দিন, স্থায়ীকরণের কথা ভাবুন, নাহলে না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।