ঘরজামাই থাকতে রাজি হলে তবেই হবে বিয়ে! মাকে একা ছাড়ার প্রশ্নই নেই, দাবি সারার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সারার (sara ali khan) যখন মাত্র নয় বছর বয়স সে সময়ে বিয়ে ভেঙে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং (amrita singh)। তখন থেকে মায়ের কাছেই বড় হয়ে উঠেছেন সারা। বাবার সঙ্গে ছেলে মেয়ের যোগাযোগ ছিল ঠিকই, কিন্তু সমস্ত ঝড়ঝাপটা সামলে অমৃতাই মানুষ করেছেন ইব্রাহিম ও সারাকে। সইফ যখন একটার পর একটা প্রেমের সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তখন বটগাছের মতো দুই সন্তানকে আগলে রেখেছিলেন অমৃতা।

ছোট থেকেই তাই মা অন্ত প্রাণ সারা। মেয়েরা সাধারনত বাবারই বেশি কাছের হয়। কিন্তু সারার ক্ষেত্রে তা উলটো। অমৃতাকে ঘিরেই তাঁর গোটা জগৎটা। তাই ভবিষ‍্যতে নিজের সংসার করলেও মায়ের দিকটা আগে দেখে তারপরেই বাকিটা ভাববেন সারা। এমনকি কোথাও যাওয়ার আগে মা ই তাঁর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি খুঁজে দেন বলে জানান অভিনেত্রী।

Sara Ali Khan in Abu Jani Sandeep Khosla multicoloured anarkali with Amrita Singh featured 1366x768 1
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ‍্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের রসায়নের কথা তুলে ধরেন সারা। তাঁর কথায়, “আমার ক্ষমতাই নেই মায়ের থেকে দূরে যাওয়ার। যেখানেই যাই না কেন, ফিরতে তো মায়ের কাছেই হবে না?” তিনি আরো বলেন, যদি কেউ তাঁর এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতে রাজি হয় তবেই তিনি বিয়ে করবেন। মাকে একা ছাড়ার কথা ভাবতেও পারেন না সারা।

সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পরামর্শের জন‍্য কার কাছে যান তিনি সইফ নাকি অমৃতা? একটুও না ভেবে সারার উত্তর, “সবসময় মায়ের কাছে। যেকোনো কিছুর জন‍্য।” তিনি মনে করেন, নিজের বয়সের তুলনায় অনেকটা বেশি অভিজ্ঞ তিনি। এর জন‍্যও নিজের মাকেই কৃতিত্ব দেন সারা। তিনি বলেন, “আজকের সময়ে এবং বয়সে একজন সিঙ্গল মাদারের সঙ্গে থাকলে অনেকটাই শক্তপোক্ত হওয়া যায়। বাস্তবতার সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া যায়।”

মাত্র নয় বছর বয়সেই সারা বুঝতে শিখেছিলেন, বাবা মা এক বাড়িতে থেকে ভাল নেই। তাঁর ভাবনাটাই সত‍্যি হয়েছিল। সারার কথায়, “দুটো আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করায় হঠাৎ করেই তাঁদের খুব খুশি দেখা গেল। যেমন, আমার মা যাকে আমি দশ বছর ধরে হাসতে দেখিনি, হঠাৎ করেই তাঁকে অনেক খুশি লাগল, সুন্দর লাগল। আমার বাবা মা দুজনেই যদি আলাদা থেকে ভাল থাকে তাহলে আমি কেন বিষন্ন হব?” সারা আরো জানান, অনেক বছর পর নিজের মাকে আবার প্রাণোচ্ছ্বল দেখেছেন তিনি। তাই বিচ্ছেদটা নিয়ে তিনি খুশিই ছিলেন।

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর