বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘এখন নতুন কিছু চাইলে, পারব না দিতে। কোথা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (lakshir bhandar) টাকা আসবে, ঠিক নেই’- মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। অন্যান্য বৈঠকে এই বিষয়টা নিয়ে কিছুটা ঘুরিয়ে উত্তর দিলেও, এবার মালদহে একেবারে সোজা ভাষায় এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দাবি করেছিলেন রতুয়ার বিধায়ক। রতুয়ার বিধায়কের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন নতুন কিছু চাইলে দিতে পারব না। টাকা জোগাড় কোথা থেকে করব, তার ঠিক নেই। কোথা থেকে টাকা আসবে, সেই চিন্তা করতে হয় রোজ। কোথা থেকে স্মার্ট কার্ডের টাকা আসবে, আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই বা আসবে কোথা থেকে, ঠিক নেই’।
এখানেই শেষ নয়, মালদহের আগে দুই দিনাজপুরের বৈঠকেও কিছুটা একই সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘টাকা পেতে হলে ম্যাজিশিয়ান তৈরি করুন। আগামী ২ বছর নতুন কোনও স্কুল, কলেজ, সেতুর পেছনে খরচ করা যাবে না। কেন্দ্র সরকার রাজ্যের প্রাপ্য টাকাই দিচ্ছে না, উলটে রাজ্য থেকে নিয়ে যাচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বাংলার মেয়ে বউদের জন্য এক প্রকল্প শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্বাচনে জয়লাভ করতেই প্রতিশ্রুতি মতন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে তফসিলি জাতি উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ১০০০ টাকা করে এবং সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলারা পাচ্ছেন ৫০০ টাকা করে।
তবে এই প্রকল্প শুরুর আগে থেকেই এতো টাকা কোথা থেকে আসবে, এই নিয়ে এক আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। শোনা গিয়েছিল, রাজ্যের মন্ত্রীদের অতিরিক্ত খরচ বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুরু হলেও, এই প্রকল্প কতদিন টেনে নিয়ে যেতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী এখন সেটাই দেখার।