বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশের (Bangladesh) এক আদালত (Court) হত্যার অভিযোগে রাজধানী ঢাকার (Dhaka) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ২০ ছাত্রকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে। এই ছাত্রদের উপর দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। আদালত ২০ জন ছাত্রকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুর সাজা শুনিয়েছে। এছাড়াও পাঁচ জনকে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, দোষী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ২১ বছর বয়সী ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। ফাহাদ সরকারের সমালোচনা করেছিল বলেই তাঁর উপর আক্রমণ করেছিল ছাত্রলীগের সদস্যরা। ভারতের সঙ্গে নদী জল চুক্তি না হওয়ার বিরোধিতায় ফাহাদ ফেসবুকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে পোস্ট করেছিলেন। এরপর তাঁকে ব্যাট এবং লাঠি-বাঁশ দিয়ে মারধর করে মেরে ফেলা হয়। ফাহাদের দেহ পরের দিন হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল। ঢাকার ফাস্টট্র্যাক আদালতের বিচারক আবু জফর মহম্মদ দুই বছর পর দোষীদের সাজা ঘোষণা করেন।
ফাহাদের হত্যায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা যুক্ত ছিল। ২০১৯-এ ফাহাদকে হত্যা করার পর সব অভিযুক্তই সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে। ফাহাদের হত্যার পর বাংলাদেশের বহু জায়গায় তুমুল বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদও দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের অভিযুক্ত ছাত্রদের তৎকাল বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অনেক রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন এই ঘটনার বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সংগঠনকেই বহিষ্কার করার দাবি তুলেছিল। যদিও, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ছেলের হত্যাকারীরা সাজা পাওয়ার পর ফাহাদের বাবা খুশি জাহির করেছেন। ফাহাদের মা দোষীদের শীঘ্রই ফাঁসিকাঠে ঝোলানোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, দোষীদের আইনজীবী এই রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে জানিয়েছেন।