বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের কাউন্সিলরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের আপ্ত সহায়ক ছিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে অজস্র টাকার আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালে তৃণমূল কাউন্সিলর রমা নাথ আত্মঘাতী হন। কাউন্সিলরের আত্মহত্যার পর তাঁর মা রমাদেবীর আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন পড়ায় দেড় বছর পর উত্তর প্রদেশ থেকে অভিযুক্ত আপ্ত সহায়ক বিজয় সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রমাদেবীর সঙ্গে কাজ করতে করতে তাঁকে প্রেমের জালে ফাঁসায় বিজয় সাউ। এরপর সেই ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় তোলাবাজি করত বিজয়। এলাকার মানুষ তাঁর কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। পাশাপাশি টাকা নিয়ে এলাকাবাসীকে অনেক অনৈতিক কাজে সুবিধাও পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজয়ের বিরুদ্ধে।
পরপর তিনবার তৃণমূলের টিকিটে জয়ী প্রার্থী ছিলেন রমাদেবী। এলাকায় ওনার নামডাক ছিল অনেক। আপ্ত সহায়ক তথা প্রেমিকের কুকীর্তি সামনে আসার পর দুজনের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এরপরই বিজয়ের বিরুদ্ধে রমাদেবীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অশান্তি সইতে না পেরে তৃণমূল কাউন্সিলর রমাদেবী ২০২০ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপরই রমাদেবীর মা GRP-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তখন থেকেই পলাতক ছিল বিজয় সাউ।
GRP উত্তরপ্রদেশের বাঁশপোতা এলাকায় বিজয়ের লুকিয়ে থাকার খবর পায়। এরপরই সেখানে অভিযোগ চালিয়ে বিজয়কে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুরের GRP। তদন্তকারীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর প্রদেশে অভিযুক্তের কোনও আত্মীয় নেই, সে সেখানে লুকিয়ে থাকার জন্যই গিয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর পাঁচ সদস্যের দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। রবিবার বিজয়কে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৩ দিনের পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর