সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ বিজেপি নেতা রন্তিদেবের, উস্কে দিলেন জল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক বেসুরো সুর বাজছে বিজেপির (bjp) অন্দরে। হাওড়া দক্ষিণে পরাজিত হওয়ার পর এবার বেসুরো হলেন বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্ত (Rantidev Sengupta)। বর্তমান সময়ে তাঁর দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুমুল জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

স্যোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট লিখে দলের বিরুদ্ধে কিছুটা ক্ষোভ উগরে দিয়ে রন্তিদেব সেনগুপ্ত লেখেন, ‘সারাজীবন চাকরি করে যেটুকু টাকা সঞ্চয় করেছি তা ব্যাঙ্কে জমা রেখেছি। এ কথাটা শুুধু আমার কথা নয়। আমরা যারা পাঁচ পাবলিক, এটা আমাদের সবার কথা। সারাজীবনের এই সঞ্চয়টুকুর ওপর নির্ভর করে আমরা কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছি মেয়েটার একটা ভদ্রস্থ বিয়ে দেওয়ার। কেউ বা ভাবছি ছেলেটার উচ্চশিক্ষা এই টাকাতেই হয়ে যাবে। আদানি আম্বানি টাটা বা গোয়েঙ্কাদের ভারতের থেকে আমাদের এই পাঁচ পাবলিকের ভারত অন্যরকম। আমাদের ভারতে মাসের শেষে ভাবতে হয় সংসারের খরচ কাটছাঁট করে কিভাবে নিত্যদিনের চাহিদা মেটাব। আমাদের এই পাঁচ পাবলিকের ভারতে ছোট ছোট সুখ দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকি আমরা’।

তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যাঙ্ক ফেল করার আগাম একটি গাওনা গাইছেন কেন? আসলে সরকার বাহাদুর গা থেকে সব দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। বেচে দেওয়ার এক ভয়াবহ খেলায় নেমেছেন তারা। সে খেলায় আদানি আম্বানিদের ভারত ধনে মানে আরও সম্পদশালী হয়ে উঠবে হয়তো, কিন্তু আমরা এসে পৌঁছব সর্বানাশের দ্বারপ্রান্তে। কল্যাণকামী রাষ্ট্র থেকে এই রাষ্ট্রটিকে তারা ক্রমশ একটি ব্যবসায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছেন। যে কারণেই অবাধ বেসরকারিকরণের পথে হাঁটা লাগিয়েছেন সরকার বাহাদুর। এপথে পা বাড়িয়ে সরকার বাহাদুর এখন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন’।

বিজেপি নেতার এমন পোস্ট ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনীতির অন্দরে। সেইসঙ্গে তৈরি হয়েছে আবার দল ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর