নতুন বছরেই কর্মহীন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক, তালা পড়ল বাংলার আরও একটি জুটমিলে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বছরের প্রথম দিন ফের বন্ধ হল এক জুটমিল (Jute Mill)। নতুন বছর শুরু হতে না হতেই কর্মহীন হয়ে পড়লেন বেশকিছু মানুষ। তালা পড়ে গেল চন্দননগরের (Chandannagar) বন্ধ হল জুটমিলে। সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস পড়ল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে।

নতুন বছরেই কাজ হারিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল প্রায় ৪ হাজার শ্রমিকের। এই বাড়তে থাকা করোনা আবহের মধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই এভাবে কাজ বন্ধ হওয়ায় বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শ্রমিকদের। কীভাবে চলবে সংসার, পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেবে কিভাবে? এই ভেবেই পাগল হয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।

5 8

করোনা আবহের কারণে প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর সবেমাত্র গত ১১ ই জুলাই চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল খুলেছিল। কিন্তু খুলতে না খুলতেই মাত্র সাড়ে ৫ মাসের মাথায় আবার বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল। নতুন বছরের শুরুতে কাজে এসেই শ্রমিকরা দেখে জুটমিলে তালা ঝোলানো রয়েছে। আর এই পরিস্থিতি দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অনেক বেশি দামে বর্তমান সময়ে কাঁচা পাট কিনতে হচ্ছে। যার কারণে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই এখন মিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এইভাবে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

এবিষয়ে হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, ‘এই এলাকাটা অবাঙালি এলাকা হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জুটমিল বন্ধ করিয়েছে তৃণমূল। আমরা তৃণমূলের এই চক্রান্ত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব’।

অন্যদিকে নিজেদের দিকে ওঠা এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল বিধায়ক ও শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাটের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় কাঁচা পাটের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা হওয়ার কারণেই এমন সমস্যা হচ্ছে। নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রের সঙ্গে বিজেপির ২ জন সাংসদ যোগসাজশ করে এসমস্ত করেছে’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর