বাংলাহান্ট ডেস্ক: নতুন বছরের শুরু মানেই ‘রেজোলিউশন’ (resolution) বানানোর ধুম। পুরনো বছরের ভুল শুধরে নতুন বছরে কিছু নিয়ম মেনে চলার যে প্রতিজ্ঞা তারই গালভরা নাম ‘নিউ ইয়ার রেজোলিউশন’। যদিও বছর শেষে অনেকেই স্বীকার করেন ঢাকঢোল পিটিয়ে করা রেজোলিউশন ভেঙে যায় বছরের শুরুতেই, তবুও করা চাই। এই যেমন উষসী চক্রবর্তী (ushasie chakraborty) রেজোলিউশন বানানোর পাশাপাশি ইঙ্গিতও দিয়ে দিলেন যে যেকোনো সময়ে ভেঙে যেতে পারে সে প্রতিজ্ঞা।
পর্দায় উষসীর নাম এখন হয়ে গিয়েছে ‘জুন আন্টি’। ‘শ্রীময়ী’ শেষ হয়ে গেলেও জুনের ভূত এখনো তাড়া করছে তাঁকে। কিন্তু বাস্তব জীবনে একেবারেই কন্য রকম উষসী। তাঁর সহ অভিনেতা অভিনেত্রীদের কথায়, উষসীর মতো মিষ্টি মানুষ খুব কম হয়। তেমনি মজাও করতে পারেন তিনি। তাই তাঁর রেজোলিউশনও যে মজার হবে তা বলা বাহুল্য।
সম্প্রতি ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছেন ‘জুন আন্টি’। সেখানেই তিনি ফাঁস করেছেন এক গোপন অভ্যাসের কথা, বা বলা ভাল বদঅভ্যাস। গোটা শীতভর নাকি নিয়মিত স্নান করেন না তিনি। তাই নতুন বছরে উষসীর নিজের কাছে নিজের প্রতিজ্ঞা, রোজ স্নান করবেন তিনি।
যদিও তাঁর কথা শুনে বোঝা কঠিন যে এই প্রতিজ্ঞা কতদিন টিকবে তাঁর। আসলে উষসী খুব শীতকাতুরে। কলকাতার ঠাণ্ডাতেও তিনি রুম হিটার ছাড়া থাকতে পারেন না। তাই স্নানেও অনীহা। শীত পড়লেই নাকি চেনা পরিচিতরা ফোন করে খোঁজ নেন তিনি স্নান করেছেন কিনা। দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে উষসী জানান শীতকালে তাঁর স্নানের কিছু প্রকারভেদ আছে। যেমন, কম ঠাণ্ডায় ‘কাকস্নান’, বেশি ঠাণ্ডায় ‘ছিঁটেফোঁটা স্নান’।
https://www.instagram.com/tv/CYQzwGJJ45w/?utm_medium=copy_link
তাপমাত্রা যদি আরো কমে তবে তিনি বাথরুমের আয়নায় জল ছেটাবেন। উষসীর কথায়, ‘আরশি স্নান’। আর যদি প্রায় বরফপড়ার মতো অবস্থা হয়, তবে বাথরুমে কল খুলে ‘নল নমস্কার’ করেই পালিয়ে আসবেন! স্নানের রকমফের আর ব্যাখ্যা শুনে পেটে খিল ধরার জোগাড় রচনা সহ অন্য প্রতিযোগীদের।
তবে একটা নয়, দু দুটো রেজোলিউশন নিয়েছেন উষসী। গত দশ বছর ধরে তিনি প্রতিজ্ঞা করছেন রান্না শেখার, আর প্রতিবারই ভাঙছেন। তবে এবার তিনি ঠিক করেই নিয়েছেন, ডিম সেদ্ধর থেকে একটু উপরে উঠবেনই!