বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, কাটেনি আতঙ্ক। ঝাঁকুনি অনুভব করে হঠাৎ ব্রেক কষতেই ঘটে যায় সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। উলটে যায় ট্রেনের বগি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা- নিজের অভিজ্ঞতার কথা এমনভাবেই জানালেন বিকানের এক্সপ্রেসের (Bikaner Express) লোকো পাইল প্রদীপ কুমার।
বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস। পাটনার দিকে যাওয়ার সময় ময়নাগুড়িতে বিকানের এক্সপ্রেসের ১২ টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনও অবধি ৯ জনের মৃতের খবর পাওয়া গিয়েছে। কুয়াশার মধ্যে ভোর রাত থেকেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ বগিগুলোকে সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়।
এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ৩৬ জন জখমের চিকিৎসা চলছে। আবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৬ জনকে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মধ্যে ঘটনাস্থলে থেকে দফায় দফায় তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন বিকানের এক্সপ্রেসের লোকো পাইল প্রদীপ কুমার। তিনি বলেন, ‘দোমোহনি ষ্টেশন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার স্পিডে তখন ট্রেনটি চলছিল। অ্যাডভান্স সিগন্যালের আগে হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভব করায় সঙ্গে সঙ্গেই ব্রেক কষতে গিয়ে দেখি পিছনে বগি উলটে গিয়েছে। কিন্তু কিভাবে সবটা হল কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। মনে হচ্ছে রেল ট্র্যাকে কিছু সমস্যা ছিল’।
এই ঘটনায় গুরুতর জখমদের এক লক্ষ টাকা, সামান্য আঘাত প্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা এবং মৃতের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।