বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। এখন তিন ফরম্যাটেই একজন সাধারণ ব্যাটার হিসেবে খেলতে দেখা যাবে তাকে। কোহলি বরাবরই নিজের আগ্রাসী স্বভাবের জন্য পরিচিত। তিনি ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে ৪০টি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে ভারত। কিন্তু এহেন বিরাট কোহলির অধিনায়ক হিসেবে অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্তও নিয়েছেন, যার জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। সেইরকম কিছু সিদ্ধান্ত এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো-
• ভারতীয় দলকে ২০১৯ একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ থেকে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। বিশ্বকাপের আগে দলে আম্বাতি রায়ডুর জায়গায় বিজয় শঙ্করকে বেছে নেন বিরাট কোহলি। বিজয় শঙ্কর কোহলির নেতৃত্বে তার ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল। তার সিদ্ধান্তটি অনেক বিতর্কিত ছিল, কারণ বিজয় শঙ্কর তার ব্যাট এবং বল দিয়ে কোন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দেখাতে পারেননি।
• বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে পরাজয় স্বীকার হয়েছিল ভারতকে। এই ম্যাচটি সাউদাম্পটনের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানকার পিচ সবসময় ফাস্ট বোলারদের সাহায্য করে, কিন্তু তারপরও অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথম একাদশে দুই তারকা স্পিনার, রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে জায়গা দিয়েছিলেন। গোটা ম্যাচ মিলিয়ে দুই স্পিনার মাত্র ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা তাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে রান করেন।
• চেতেশ্বর পূজারা এবং অজিঙ্কা রাহানে, একসময় ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই খিলান ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে শেষ বেশ কিছু সময় ধরে তারা খুব খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ব্যাট ধারাবাহিক ভাবে রান বের আসছে না। তা সত্ত্বেও এই দুই ব্যাটসম্যানকেই দলে সুযোগ দিয়ে চলেছেন বিরাট কোহলি। তাদের জন্য নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করা শ্রেয়স আইয়ার-কে দলের বাইরে বসতে হয়েছে। একইসঙ্গে তারকা ক্রিকেটার হনুমা বিহারীও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেও নিয়মিত সুযোগ পাননি। তার এই সিদ্ধান্ত বরাবরই বিতর্কে জড়ানো।
• বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতীয় দল ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে শোচনীয় হারের মুখোমুখি হয়েছিল। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের জায়গায় বিরাট কোহলি ঈশান কিষাণকে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং মিডল অর্ডারে তাকে না খেলিয়ে ঈশানকে সরাসরি ওপেনিংয়ে পাঠান। তার এই স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগেনি। ফলস্বরূপ লজ্জাজনক ভাবে বিশ্বকাপের গ্রূপপর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকে।