মুকেশ আম্বানি ছাড়া ভারতে আর মাত্র ৩ জনের কাছে আছে টেসলার গাড়ি, রইল লিস্ট

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম দামি গাড়িগুলির তালিকায় এক্কেবারে প্রথম সারিতে থাকে টেসলার গাড়ি। দিন দিন ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই ইলেকট্রিক গাড়িগুলির। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই গাড়ি।

ভারতীয় গাড়িপ্রেমীদের কাছেও টেসলার গাড়ি পছন্দের তালিকায় থাকলেও এখনও এই দেশে গাড়িগুলি লঞ্চ করতে পারেনি সংস্থা। এই নিয়ে এখনও আলাপ আলোচনা চললেও ইতিমধ্যেই ভারতের কিছু ব্যক্তি এই গাড়ি বিদেশ থেকে আমদানি করে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন এবং টেসলা গাড়ির মালিক হয়েছেন।

ভারতে বহুমূল্য এই গাড়ির মালিকের সংখ্যাটি নেহাতই কম। এখনও পর্যন্ত দেশে মাত্র ৪ জনের কাছে আছে এই গাড়ি। আসলে এত কমজনের কাছে টেসলা গাড়ি থাকার অন্যতম একটি কারণ হল, এই গাড়ি কেনা ভীষণভাবে ব্যয় সাপেক্ষ। পাশাপাশি, টেসলার গাড়ি আমদানির জন্য যে বিশাল শুল্ক দিতে হয় তা অনেকেই দিতে চান না। তবুও জেনে নিন কারা কারা রয়েছেন এই তালিকায়:

টেসলা গাড়ির মালিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন এসার গ্রুপের কর্ণধার প্রশান্ত রুইয়া। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি টেসলা গাড়ি কিনেছেন। ২০১৭ সালে একটি নীল রঙের টেসলা মডেল এক্সের গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। মোট ৭ টি আসন বিশিষ্ট এই গাড়িটিতে দু’টি মোটর রয়েছে। পাশাপাশি, গাড়িটি মাত্র ৪.৮ সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে চলতে সক্ষম।

বিশ্বের অন্যতম ধনী এবং ভারতের সবথেকে ধনবান ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিও এই তালিকায় রয়েছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দু’টি টেসলা গাড়ির মালিক তিনি। ২০১৯ সালে মুকেশ আম্বানি তাঁর প্রথম টেসলা গাড়িটি কিনেছিলেন। এই গাড়িটি সম্পূর্ণ চার্জে ৪৯৫ কিলোমিটার চলতে পারে এবং এটির সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ২৪৯ কিলোমিটার।

এই তালিকায় রয়েছেন একজন মহিলাও! প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া প্যাসিফিক এবং অভিনেত্রী পুজা বাত্রার কাছে রয়েছে একটি Entry-Level টেসলা মডেল থ্রি। বেস মডেল হওয়ার পরেও এই গাড়িটির রেঞ্জ ৩৮৬ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গতি ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।

cars owned by riteish deshmukh

এই মুহূর্তে দেশের অভিনেতাদের মধ্যে টেসলা গাড়ির একমাত্র মালিক হলেন বলিউডের নক্ষত্র রিতেশ দেশমুখ। তিনি টেসলার মডেল এক্সের মালিক। স্ত্রী জেনেলিয়া ডিসুজার কাছ থেকে রিতেশ এটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর