বাংলাহান্ট ডেস্ক : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যে ৩ দিনের কঠিন লড়াই শেষে অবশেষে যুদ্ধ জয়ের পথে হরিণঘাটার একরত্তি। বিপদ পুরোপুরি না কাটলেও ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হল তাকে।
দিন পাঁচেক আগে দমদমের একটি হাসপাতালে জন্ম হয় হরিণঘাটার নগরউখরার বাসিন্দা জয়ন্ত ও পূজা দেবনাথের শিশুকন্যার। কিন্তু জন্মের পরেই জটিল হৃদরোগ ধরা পড়ে শিশুটির। সেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় একমাত্র এসএসকেএম বা মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালেই এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু সেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না খুদের পরিবারের। তাঁদের এই দিশাহারা অবস্থার কথা জেনে শিশুটির জন্য সাহায্য চেয়ে ফেসবুক একটি পোস্ট করেন টলিউডের এডিটর অনির্বাণ মাইতি। ফল হয় তাতেই। সাড়া আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। শিশুটির চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তাঁর টিমকে নির্দেশ দেন তিনি।
১৬ জানুয়ারি রাত ১ টা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের তত্বাবধানে মুকুন্দপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয় শিশুটির চিকিৎসা। মঙ্গলবার দীর্ঘ অস্ত্রোপচার চলে একরত্তির শরীরে। আর তারপরই আজ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বাইরে আনা হল তাকে। পুরোপুরি বিপদ না কাটলেও আস্তে আস্তে সুস্থতার পথেই শিশুটি। ৩ দিন পর আবার চোখ মেলে তাকিয়েছে সে আজ।
শিশুটির বাবা জয়ন্তবাবু জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা তবে শিশুটিকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও বিপদ কাটেনি। ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর ফিডিং করানো শুরু করা হবে শিশুটিকে। সেটা যদি নিতে পারে সে তাহলে অনেকখানি বিপদই কেটে যাবে। আজ খুদেকে মধু দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
৫ দিনের এই একরত্তির সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করেছিল গোটা রাজ্য। জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই বাম-তৃণমূলের রাজনৈতিক বিরোধ ঘুচিয়ে এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সমন্বয়ের সৃষ্টি করেছিল সে। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরুক খুদে। এখন শুধু এটুকুই চাওয়ার।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট