কলকাতায় এবার আরও একটি বিমানবন্দর! ভাঙড়ে জমি খোঁজার নির্দেশ দিল নবান্ন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে দমদমের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শুধুমাত্র রাজ্যেরই নয় পাশাপাশি দেশেরও অন্যতম একটি বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে এই বিমানবন্দর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিমান চলাচলের সংখ্যাও।

যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে রাজ্যের বৃহৎ এই বিমানবন্দরে। এই চাপ কমাতেই এবার উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। যেই কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই মর্মে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ভাঙড়ে একসঙ্গে অনেকটা জমি পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জমি খোঁজার জন্য অগ্রাধিকার পাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকাই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই এয়ারপোর্ট তৈরির জন্য কলকাতার আশেপাশের এলাকাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জমি খোঁজার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা হচ্ছে।

প্রথমত, রানওয়েটি যাতে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ করার সুযোগ থাকে সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, বোয়িং ৭৭৭-এর মতো বড় বিমান নামা-ওঠার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকটাও মাথায় রাখা হচ্ছে। এমনকি, বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে যাতে একাধিক বিমান রাখার জায়গা থাকে সেগুলিও লক্ষ্য রেখে জেলাপ্রশাসনকে জমি খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।

পাশাপাশি, সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পুরুলিয়ার ছড়রাতেও একটি বিমানবন্দর তৈরি করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। এক্ষেত্রে ছত্তিশগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে যাতায়াত যাতে স্বচ্ছন্দে হয়, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Fire breaks out near Kolkata airport runway news
উল্লেখ্য যে, তৃতীয়বার সরকারে আসার পর থেকেই রাজ্যে শিল্পায়নের দিকে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজ্যকে বিনিয়োগের প্রথম পছন্দ করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের বিমানবন্দরগুলিকে দ্রুত চালু করার বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেই নির্দেশ অনুযায়ী, মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহার বিমানবন্দরগুলিতে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চলেছে সরকার। এই বিমানবন্দরগুলিতে পরিষেবা শুরু হলে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পাশাপাশি, রাজ্যে দমদমের মত আরও একটি অত্যাধুনিক বৃহৎ বিমানবন্দর তৈরি হলে তা যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর