‘আমার মুখ দেখে নিও’, বাবাকে ফোন করেই ছয় তলা থেকে ঝাঁপ গুনগুনের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত‍্যার (suicide) চেষ্টা করলেন এক মডেল। যোধপুরের (Jodhpur) বাসিন্দা গুনগুন উপাধ‍্যায় (gungun upadhyay) এক হোটেলের ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত‍্যা করার চেষ্টা করেন। গত শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটার পরেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গুনগুনকে।

পেশায় ফ‍্যাশন মডেল গুনগুন উপাধ‍্যায়। সংবাদ মাধ‍্যম সূত্রে খবর, শনিবার তিনি রাজস্থানের উদয়পুর থেকে যোধপুরে ফিরে আসেন। হোটেল লর্ডস ইনে থাকছিলেন তিনি। শনিবার রাতেই ওই হোটেলের ছয় তলার ছাদ থেকে নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত‍্যা করার চেষ্টা করেন গুনগুন।

gungun
জানা যাচ্ছে, আত্মহত‍্যা করার আগে নিজের বাবাকে  ফোন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় সে। সঙ্গে বলে, তিনি চলে গেলে বাবা যেন তাঁর মুখ দেখে নেন। গুনগুনের বাবা গণেশ উপাধ‍্যায়ই সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। মডেলের ফোন নম্বর ট্র‍্যাক করে ওই হোটেলের খোঁজ পায় পুলিস। কিন্তু পুলিস হোটেলে পৌঁছানোর আগেই ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন গুনগুন।

সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মথুরাদাস মাথুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। জীবিত থাকলেও গুরুতর আহত হয়েছেন গুনগুন। ছয় তলা থেকে নীচে ঝাঁপ দেওয়ায় পা ও বুকের পাঁজরে ফ্র‍্যাকচার হয়েছে তাঁর। অনেকটা রক্তক্ষয়ও হয়েছে গুনগুনের।

ক্রমাগত রক্তের যোগান দিতে হচ্ছে তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বড়সড় বিপদ থেকে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলেন গুনগুন তা জানা যায়নি। পেশাগত বা ব‍্যক্তিগত ক্ষেত্রে কি কোনো দুশ্চিন্তার মধ‍্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি? প্রেম ঘটিত বিবাদের কথাও চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো উত্তরই পাওয়া যায়নি। গুনগুনের বাবা যোধপুরের একজন ব‍্যবসায়ী। আপাতত তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। চিকিৎসাধীন গুনগুন এখন কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। তিনি সুস্থ হওয়ার পরেই পুলিস তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে খবর।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর