মমতার নির্দেশেই টিকিট বিধায়ক-সাংসদদের! ‘এক ব্যক্তি এক পদ নীতি” নিয়ে সরব অভিষেক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ বিতর্কে জল ঢাললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের এক ব্যক্তির একাধিক পদ পাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। মূলত কলকাতার নেতাদের দিকেই ছিল এই অভিযোগের তীর। দলের অন্দরে যা নিয়ে তৈরি হয় তীব্র অসন্তোষ। এবার সেই বিতর্কেরই সাফাই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

একটি সাক্ষাৎকারে এদিন তিনি বলেন, ‘দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ৯৫% কার্যকর করা গেছে। আগামী দিনে তা ১০০% কার্যকর করব’। তিনি যতদিন সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন তার মধ্যেই তিনি এই কাজ ১০০% শেষ করবেন বলে কর্মীদের ভরসাও দেন অভিষেক।

একুশের বিধানসভায় ঐতিহাসিক জয়ের পর দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন এনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সমস্ত রদবদলের মধ্যে অন্যতম হল এক ব্যক্তি এক পদ নীতি। দল বড় হওয়ায় এক ব্যক্তি একাধিক পদ পেলে বাকি কর্মীরা বঞ্চিত হবে বলেই জানিয়েছিল তৃণমূল। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আরও বেশি লোকবলের আশাতেই কর্মীদের পদ দেওয়ার দিকে গুরুত্ব দেয় রাজ্যের ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এই নীতি নিয়ে জেলার নেতাদের অভিযোগের তীর সর্বদাই ছিল কলকাতার নেতাদের প্রতি।

সম্প্রতি তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্থান পায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক অতনু ঘোষ, দেবাশীষ কুমারদের মতন তাবড় নেতাদের নাম। এরপরই জেলাস্তর থেকে উঠতে থাকে অভিযোগ৷ ‘তবে কি সব নিয়ম শুধু জেলার জন্যই’ এই প্রশ্নে সরব হন জেলাস্তরের নেতারা৷ কিন্তু এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন অভিষেক।

তিনি বলেন, ‘রাজ্যস্তরের কিছু নেতা অনেক পদে রয়েছেন। কিন্তু এই নীতি কার্যকর করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই সেই সমস্ত ইতিমধ্যে পদাধিকারী নেতারা প্রার্থী হয়েছেন।’ তাঁর এহেন বক্তব্যে কার্যতই একথা পরিষ্কার যে বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে সিদ্ধান্তের ব্যতিক্রম ঘটাতেই পারে দল। তবে এই নীতি যাতে সম্পুর্ণভাবে লাগু করা যায় তা তিনি দেখবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর