বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল বিদায় নিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। গত মঙ্গলবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার হয়েছে বাপ্পি লাহিড়ীর শেষকৃত্য। কালো সানগ্লাস, গলায় মোটা সোনার হার পরে ‘ডিস্কো কিং’ এর মতোই বিদায় নিয়েছেন গায়ক সুরকার। বলিউডের অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন তাঁর শেষকৃত্যে। কিন্তু দেখা যায়নি বাপ্পি দার ‘ডিস্কো ডান্সার’ মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)।
বাপ্পি লাহিড়ী ও মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিনের বন্ধু। দুজনের কেরিয়ারের শুরুর দিকেই একে অপরকে বড় ব্রেক দিয়েছিলেন তাঁরা। বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজন। উঠে এসেছে ‘আই অ্যাম এ ডিস্কো ডান্সার’, ‘ইয়াদ আ রাহা হ্যায় তেরা পেয়ার’ এর মতো কালজয়ী সব গান। বলিউডে ডিস্কো জমানার সূত্রপাতই মিঠুন বাপ্পি জুটির হাত ধরে।
বাপ্পি লাহিড়ীর আচমকা প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মিঠুন। পুরনো দিনের কথা স্মরণ করে আবেগঘন তিনি। আশির দশকে মিঠুন নাচ ছিল বলিউডে একেবারে নতুন জিনিস। বাপ্পি লাহিড়ীর দৌলতে তা আরো জনপ্রিয়তা পায়। সুরকারের মৃত্যু সংবাদ শুনে শোকপ্রকাশ করে মিঠুন বলেছিলেন, ‘বাপ্পি দা’কে চিরদিন মিস করবেন।
সংবাদ মাধ্যমকে মিঠুন জানান, যখন তিনি বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যুসংবাদটা পান তখন তিনি বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। চাইলেই ছুটে আসতে পারতেন মুম্বইতে। কিন্তু আসেননি। কেন? মিঠুন বলেন, বাপ্পি দার নিথর দেহ দেখার সাহস জোটাতে পারেননি তিনি। বন্ধুর হাসিমুখটাই হাসিমুখের ছবিটাই চিরকাল মনের মধ্যে রেখে দিতে চেয়েছেন মিঠুন। তাই তিনি বাপ্পি লাহিড়ীর শেষকৃত্যে আসেননি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় প্রয়াত বাপ্পি দার। মুম্বইয়ের জুহুতে তাঁর বাড়ি থেকে মরদেহ বের করে পবন হংস শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষযাত্রায় বাবাকে কাঁধ দেন ছেলে বাপ্পা ও রানি মুখার্জির ভাই রাজা। আক্ষরিক অর্থেই ‘ডিস্কো কিং’ এর মতোই বিদায় নিলেন বাপ্পি লাহিড়ী।
কালো সানগ্লাস ও গলায় সোনার চেন ছাড়া কখনোই তাঁকে দেখা যায়নি। গায়কের প্রিয় সেই দুটো জিনিস শেষযাত্রাতেও তাঁর সঙ্গে ছিল। চোখে কালো চশমা এঁটে, গলায় ফুলের মালার সঙ্গে মোটা সোনার হার পরে যেন ঘুমিয়ে রয়েছেন গায়ক।
বিধ্বস্ত অবস্থায় ক্যামেরার সামনে আসেন ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী। হাত জোড় করে উপস্থিত সকলকে প্রণাম জানান তিনি। বাপ্পি লাহিড়ীর মেয়ে অঝোরে কেঁদেই চলেছেন। ভিড় সামলাতে পুলিসও মোতায়েন করা হয়েছিল সুরকার গায়কের শেষযাত্রায়।