বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘পুষ্পা’ (Pushpa), ২০২১ এর এই একটি ছবি ভারতীয় চলচ্চিত্রের খোলনলচে টাকেই প্রায় বদলে দিয়েছে। বলিউডকে সর্বেসর্বার আসন থেকে এক ঝটকায় টেনে নামিয়ে সিংহাসন দখল করে বসেছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। গোটা ভারত কাঁপাচ্ছে তেলুগু, তামিল, কন্নড়, মালয়ালম ভাষার ছবিগুলি। বলিউডের কার্যত শিরে সংক্রান্তি। এবার এই জনপ্রিয় ছবির সংলাপ শোনা গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মুখেও!
পুষ্পা ছবিটি যে পরিমাণ সাফল্য পেয়েছে তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। বক্স অফিসের কথা তো ছেড়েই দিন, উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত নেচেছে পুষ্পার গানে এবং এখনো নাচছে। ‘শ্রীভল্লি’তে আল্লু অর্জুনের ট্রেন্ডিং নাচের স্টেপ হোক, বা ‘সামি সামি’ গানে রশ্মিকা মন্দানার মতো কোমর মটকানো হোক, কিংবা সামান্থা রুথ প্রভুর ‘উ আনটাভা’। সবকটি গানই বেজেছে বিয়েবাড়ি, পার্টি বা জমায়েতে।
শুধু কি গান? ‘পুষ্পা’র সংলাপও একই রকম জনপ্রিয় হয়েছে। পুষ্পারাজ ওরফে আল্লু অর্জুনের মুখে ‘ম্যায় ঝুঁকেগা নেহি’ কিংবা ‘পুষ্পা শুনকে ফুল সমঝা থা কেয়া, ফায়ার হ্যায় ম্যায়’ এর মতো সংলাপ বাস্তবেই আগুনের মতো ছড়িয়েছে। মালাবদল অনুষ্ঠানের সময় নতুন বরকেও ‘ম্যায় ঝুঁকেগা নেহি’ বলতে শোনা গিয়েছে! সঙ্গে থুতনির নীচে হাত টেনে আল্লুর সেই আইকনিক এক্সপ্রেশন।
বিনোদন কিংবা খেলার জগতের মানুষ তো আগে থেকেই পুষ্পা প্রেমে মাতোয়ারা ছিল। এবার জল গড়াল রাজনীতির জগতেও। পুষ্পারাজের সংলাপ বললেন খোদ বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। থুতনির নীচে হাত টেনে ‘কেষ্টা’ই হয়ে উঠলেন ‘পুষ্পারাজ’।
এক নামী টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে পরিচালক সত্রাজিৎ সেনের কাছে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক গল্পই করেছেন অনুব্রত। সেখানেই উঠে আসে ‘পুষ্পা’ প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেতার কথায়, পুষ্পা খুব ভাল একটা বই। সত্রাজিতের অনুরোধে আল্লু অর্জুনের মতো করেই তিনি বলে ওঠেন, “ফুল নয়, আগুন আমি”!
এদিন স্বাস্থ্যের সমস্যা নিয়েও কথা বলেন অনুব্রত। সুগার,শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাই লাগাম টানতে হয়েছে খাওয়াদাওয়ায়। আগের মতো আর প্রাণভরে মাছ মাংস খেতে পারেন না। এখন তাঁর সকাল শুরু হয় দুটো ছোট ছোট রুটি দিয়ে। দুপুরে ৬০ গ্রাম চালের ভাত, পেপে, উচ্ছে দিয়েই খেতে হয়।
তবে পোস্তর বড়া তাঁর চাইই চাই। এবারের ভোটে কেষ্টার ‘দাওয়াই’ কী? সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রতর উত্তর, “এবার তো পাড়ায় পাড়ায় ভোট। হকি খেলবে। হকি গোটা ভারতের খেলা। সারা পৃথিবী জুড়েও খেলা হয়।”