বাংলাহান্ট ডেস্ক: মানুষ অমর নয়। প্রতিনিয়ত প্রিয়জনকে হারাচ্ছে মানুষ। তেমনি আবার নতুন প্রাণও জন্ম নিচ্ছে। দু বছর আগে এমনি ঘটনা ঘটেছিল পরিচালক বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) জীবনে। সে বছরেই নিজের জন্মদাতা বাবাকে হারান রাজ। আবার সেই বছরেই কয়েক মাস পরে তিনি নিজে বাবা হওয়ার আনন্দ উপলব্ধি করেন। এক প্রিয়জনকে হারিয়ে আরেক প্রিয়জনকে দুহাত বাড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন পরিচালক।
রাজের সেই ছোট্ট ইউভান (Yuvaan) এখন অনেকটাই বড়। পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে দু বছরের দিকে। হামাগুড়ি ছেড়ে সে এখন দৌড়াতে শিখছে। আধো আধো গলায় বাবা, মাম্মা, দাদা বলতে শিখছে। কিছুদিন আগে সরস্বতী পুজোয় হাতে চকখড়িও তুলে নিয়েছে ইউভান। বাবা মা, ঠাম্মার চোখের সামনে বড় হয়ে উঠছে আদরের ইউভান।
কিন্তু রাজের একটা আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে। এত আদর থেকে বঞ্চিতই রয়ে গেলেন তাঁর বাবা। ইউভানের জন্মের কয়েক মাস আগে প্রয়াত হন কৃষ্ণশঙ্কর চক্রবর্তী। নাতিকে দেখে যেতে পারেননি তিনি। তেমনি ইউভানও চোখের সামনে দেখেনি তার ঠাকুরদাকে। ভরসা শুধু ছবি। ঠাকুরদার সেই ছবি হাতে নিয়েই আদরে ভরিয়ে দিল ছোট্ট ইউভান।
একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন রাজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঠাকুরদার ছবিকে বুকে আগলে বসে রয়েছে ইউভান। ছবির মানুষটাকে সে চেনে? প্রশ্ন করতেই চিৎকার করে ইউভানের উত্তর, “দাদা”! ছবিতে আঙুল দিয়ে সে অন্যদের চিনিয়ে দিচ্ছে ‘দাদা’কে। পাশ থেকে শুভশ্রী বললেন, দাদাকে একটু আদর করে দিতে। অমনি ছবি বুকে আগলে ধরে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিল নাতি ইউভান।
https://www.instagram.com/tv/CabUCG-JRl4/?utm_medium=copy_link
ছেলেকে দেখে মন কিছুটা ভারাক্রান্ত রাজের। তাঁর বার্তাতেই পাওয়া গিয়েছে তেমন আভাস। ভিডিওটি শেয়ার করে রাজ লিখেছেন, ‘একই বছরে আমি একজনকে হারিয়েছি আর অন্যজনকে পেয়েছি।আমার ছেলে আমার বাবাকে দেখেনি, আমার বাবাও তাঁর নাতিকে দেখার সুযোগ পাননি। কিন্তু আমি জানি, ওরা একে অপরকে মিস করে।’
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ ও তাঁর বাবা। বাঁচানো যায়নি পরিচালকের বর্ষীয়ান বাবাকে। সে সময়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শুভশ্রী। তার কয়েক মাস পরেই ইউভানের জন্ম দেন অভিনেত্রী।