বাংলাহান্ট ডেস্ক: আইনি বিপদের খাঁড়া এখনো দোদুল্যমান শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের (Srabanti Chatterjee) মাথার উপরে। শিকলে বাঁধা এক বেজি শাবকের সঙ্গে ছবি তোলায় বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। বন্য প্রাণী সুরক্ষা দফতরের তরফে তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সল্টলেকের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের অফিসে। কিন্তু শ্রাবন্তী হাজির অরণ্য ভবনে।
বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন ১৯৭২ এর আওতায় ৯, ১১, ৩৯, ৪৮ এ, ৪৯ এবং ৪৯ এ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নোটিস পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। সল্টলেকের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল শ্রাবন্তীকে।
নির্দেশ মতো সোমবারই সেখানে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু তিনি উপস্থিত হলেন সল্টলেকের অরণ্য ভবনে। শোনা যাচ্ছে, অরণ্য ভবনে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে এদিন দেখা করেন শ্রাবন্তী। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলে হাজিরা এড়াতেই কি অরণ্য ভবনে উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শ্রাবন্তীর?
উত্তর মেলেনি অভিনেত্রীর তরফে। তবে অরণ্য ভবন থেকে বেরোনোর পর তিনি ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেন বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টা আপাতত তদন্তের আওতায় রয়েছে। তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য তিনি করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, দোষী প্রমাণিত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে শ্রাবন্তীর।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাশ্মীর থেকে কলকাতায় ফিরেছেন অভিনেত্রী। আসন্ন ছবির শুটিংয়ের জন্যই ভূস্বর্গে গিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য তিনি একা নন। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা ওম সাহানি ও তাঁর স্ত্রী মিমি দত্ত। পরিচালক অয়ন দত্তের ছবি ‘ভয় পেয়ো না’তে জুটি বেঁধেছেন ওম শ্রাবন্তী। ছবির একটি গানের শুটিং হয়েছে কাশ্মীরে।