বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, দুর্দান্ত জয়! রিয়াল মাদ্রিদ আরও একবার প্রমাণ করলো কেন স্প্যানিশ ক্লাবটিকে “কিং অফ কামব্যাকস” বলা হয়ে থাকে। কাল রাতে মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বের্নাব্যু স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো পর্যায়ের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। প্রথম পর্বের খেলায় পিএসজির ঘরের মাঠে কিলিয়ান এমবাপ্পের করা শেষ মুহূর্তের দৃষ্টিনন্দন গোলে জয় পেয়েছিল প্যারিসের ক্লাবটি।
দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে রিয়ালের দলে সাসপেনশনের কারণে ছিল না তারকা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো এবং নিয়মিত লেফট ব্যাক ফেরল্যান্ড মেন্ডি। এই অবস্থায় খেলা প্রবল আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে বেকায়দায় পড়তে হয় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে প্ৰতিআক্রমণে বারবার রিয়ালকে বেকায়দায় ফেলতে থাকে পিএসজি। শেষপর্যন্ত নেইমারের অসাধারণ পাস থেকে নিজের গতিকে কাজে লাগিয়ে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন সেই এমবাপ্পে। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পের ত্রয়ী প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকবার বিপজ্জনক মুহূর্ত তৈরি করলেও আর গোল পায়নি পিএসজি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা বদলে যায়। ম্যাচের ৬০ মিনিট নাগাদ বেনজেমার প্রেস সামলাতে না পেরে বল হারিয়ে বসেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা। সেই বল ধরে বেনজেমাকে পাস দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। গোল করতে ভুল করেননি বেনজেমা। এক গোল পেয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে রিয়াল। ১০ মিনিটের ধরে লুকা মদ্রিচের অসাধারণ ডিফেন্স চেরা পাস ধরে ফের একবার ডোন্নারুমাকে পরাস্ত করেন বেনজেমা। পিএসজির গোটা দল চাপে পড়ে যায়। সেই গোলের পর হওয়া কিক অফ থেকেই ফের বল ছিনিয়ে নেন মাদ্রিদের প্লেয়াররা। গোলের দিকে আগুয়ান ভিনিসিয়াসের পা থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়ে চাপের মাথায় বেনজেমার পায়েই বল তুলে দেন পিএসজি অধিনায়ক মার্কুইনস। দলের তৃতীয় গোল করে এবং নিজের হ্যাটট্রিক সেরে রিয়ালকে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটিয়ে দেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। দুই পর্বের খেলা মিলিয়ে ৩-২ ফলে জয় পায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজির তারকা আক্রমণ ত্রয়ী মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র চাপ সহ্য করতে না পেরে মাদ্রিদকে ম্যাচটি উপহার দেয় পিএসজি। অনেকেই অবশ্য দোষ দিচ্ছেন লিওনেল মেসির প্রথম পর্বে করা পেনাল্টি মিসকে, যা রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কুর্তুয়া অসামান্য অনুমান ক্ষমতার দ্বারা বাঁচিয়ে দিয়েছলেন।
কোটি কোটি টাকা খরচ করেও আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় মেজাজ হারিয়ে বসেন পিএসজি মালিক নাসির আল খেলাইফি। ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট অনুযায়ী ম্যাচের পর নাসের আল খেলাইফি এবং লিওনার্দো (পিএসজির পরিচালক) খুবই আগ্রাসী মেজাজে রেফারির ঘরে জোর করে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন। রেফারি তাদের চলে যেতে বললে তারা দরজা বন্ধ করে দেয় এবং নাসের রেফারির একটি সরঞ্জামে আঘাত করে এটি ভেঙে দেয়। এছাড়াও, নাসের আল-খেলাইফি রিয়াল মাদ্রিদের একজন স্টাফ সদস্যকে আক্রমণ করেছিলেন যিনি দৃশ্যটি রেকর্ড করছিলেন এবং “আমি আপনাকে খুন করবো” বলেও চিৎকার করেছিলেন। তার দেহরক্ষীরা তাকে বাধা দেয়। লিওনার্দো, ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য বলে চিৎকার করে রিয়ালের সেই স্টাফ সদস্যকে আক্রমণ করে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউয়েফা।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা