বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে আবারো কড়া শাসন তালিবানের। নিজেদের প্রতিপত্তি বজায় রেখে পুনরায় ছাত্রীদের জন্য স্কুল বন্ধ করে দিলো এবং এই ঘটনায় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছে বহু আফগানি ছাত্রী। কি ঘটেছে ঘটনাটি, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি, তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করে ক্ষমতা তাদের হাটে তুলে নেয়। এক বিধ্বংসী হামলার পর তারা আফগানিস্তানে নিজেদের শাসন কায়েম করে। এবং সেই সময় থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে আফগানিস্থানে মানুষেরা পুনরায় এক অন্ধকার শাসন দেখতে চলেছে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। এর পূর্বে, তালিবানরা যখন আফগানিস্তানের দখল নেয়, সেই সময়ে একাধিক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, সেখানকার মানুষের উপর অত্যাচার চালানো এবং মহিলাদের ওপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার মাধ্যমে তারা এক জিহাদী শাসনের ঘোষণা করে।
এবার পুনরায় আফগানিস্তানে রাজত্ব শুরু করার পর থেকেই তালিবানদের অত্যাচার ছিল দেখার মতো। সম্প্রতি পাওয়া খবরে জানা গেছে, মহিলাদের দ্বারা একটি স্কুল প্রথমে শুরু করে পুনরায় বন্ধ করে দেয় তালিবানরা। শুরুতে স্কুল চালু হওয়ায় স্বভাবতই আনন্দে ফেটে পড়ে আফগানি ছাত্রীরা। কিন্তু স্কুল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তালিবানরা নির্দেশ দেয় তৎক্ষণাৎ বন্ধ করতে হবে স্কুলের পঠন পাঠন। এবং এরপরই যেন মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়ে তাদের। দুঃখে চোখে জল চলে আসে ছাত্রীদের।
এ বিষয়ে তালিবানরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও কেন তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে কোনো উত্তর দেয়নি। আফগানিস্তান শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক প্রবক্তাকে ধরা হলে তিনি জানান যে তাদের এ বিষয়ে কোনো কিছুই বলার নেই। এ বিষয়টি সামনে আসার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সেই দেশের পরিস্থিতি। ক্ষোভে ফেটে পড়ে বহু ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকগণ।
স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান যে, তিনি তার ছাত্রীদের ভেঙে পড়তে এবং চোখ দিয়ে জল ঝরাতে দেখেছেন, যা তার কাছে অত্যন্ত খারাপ বলে মনে হয়েছে। এ ঘটনার সমালোচনা করে অনেকে বলেন যে, এটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংকটজনক। ফলে তালিবানদের শাসনে আফগানিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থা এবং দেশের পরিস্থিতি যে আবারও অন্ধকারে গ্রাস হতে চলেছে তা অনস্বীকার্য।