বাংলা হান্ট ডেস্ক: শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। পাশাপাশি, শিক্ষার আলোয় সমাজকে আলোকিত করে সভ্যতাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক পথে পরিচালিত করে তাঁদের জীবন গঠনে একদম প্রথম থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরিশ্রম করেন। আর সেই কারণেই বাবা-মায়ের পর স্থান দেওয়া হয় তাঁদের।
কিন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে যেখানে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পাশাপাশি, সেই সব ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দেয় বর্তমান সময়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি। ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে এবার। ক্লাস চলাকালীন শ্রেণিকক্ষেই নিশ্চিন্তে ঘুমে ঢলে পড়লেন এক শিক্ষক। আর এই ঘটনা দেখেই অবাক সকলে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে সোশ্যাল মিডিয়া এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যা সাধারণ মানুষের কাছে একপ্রকার অস্ত্র হয়ে উঠেছে। কোথাও কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা দেখলেই অনেকসময় সেগুলি সরাসরি তুলে ধরা হয় নেটদুনিয়ায়। আর তার মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়ে যায় আসল দৃশ্যগুলি। এমনকি, ভাইরালও হয়ে যায় সেই সব ভিডিও।
যদিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোরঞ্জনের জন্য ভাইরাল ভিডিওর খোঁজে ব্যবহারকারীরা এখানে এলেও এই রুঢ় বাস্তবিক ভিডিওগুলিই সচেতন করে তোলে সবাইকে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একজন শিক্ষক ক্লাসের মধ্যেই চেয়ারে বসা অবস্থাতে একদম নিশ্চিন্তে ঢলে পড়েছেন গভীর ঘুমে।
ব্ল্যাকবোর্ডের তলায় বসেই পায়ের ওপর পা তুলে ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন ওই শিক্ষক। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং ওই শিক্ষকের নাম সুশান্ত শীল। তবে, এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট। যদিও, ভিডিওটির ক্যাপশনে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এলআইসির এজেন্টের কাজ ছাড়াও টিউশন করেন বলে দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। এখনও পর্যন্ত প্রায় দশ হাজার জন দেখে ফেলেছেন ভিডিওটি। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাইকের সংখ্যাও। এছাড়াও, এই অবাক করা ভিডিও দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ক্লাসরুমের মধ্যেই এভাবে ঘুমিয়ে পড়ার ভিডিও দেখে ওই শিক্ষকের সমালোচনা করেছেন সকলেই।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…