বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে লাগাতার ঘটে চলেছে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতন ঘটনা। এই ইস্যুতে সোচ্চার বিরোধীরা। রীতিমতো মাঠে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছে বিজেপি। এই ইস্যুতেই এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেই মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মহিলা, সেখানে একটিও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটা লজ্জার।
এদিন দক্ষিণেশ্বরে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘সকলেই চিন্তিত মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায়। এখানে একদম জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটলে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করব পুলিশ-প্রশাসন এ দিকে নজর রাখবে।’
তাঁর এই মন্তব্যকে ঢাল বানিয়ে মমতাকে এক হাত নিয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘সৌগতবাবু যাঁকে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও তো তিনিই। পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশটা তা হলে কে দেবেন?’ একই সঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘সৌগতবাবু ভাল মানুষ। সঠিক কথা বলেছেন। তবে যতটা দৃঢ় ভাবে বলা প্রয়োজন ছিল, তা পারেননি। কারণ ক্ষমতায় রয়েছে তাঁরই দল।’ যদিও একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা না পুরুষ, এ ক্ষেত্রে তা বিচার্য নয়।’
বিরোধী দলের এহেন কটাক্ষের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের হয়ে লড়তে নেমেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন বিজেপি ত্যাগি এই তৃণমূল নেতার কথায়, ‘ ওই কথাই যদি মেনে নিতে হয় তা হলে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুরুষ সেখানে ঢালাও নারী নির্যাতন চলতে পারে? মুখ্যমন্ত্রী পুরুষ বা নারী যেই হন না কেন, কিছু যায় আসে না। নারী নির্যাতন নামে ব্যাধিটাকে দূর করতে হবে।’
রাজ্যে একের পর এক ঘটে চলেছে নারী নির্যাতন। বাঁশদ্রোণী, হাঁসখালি, বোলপুর, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, দেগঙ্গা… গুনে শেষ করা যাবে না বোধহয় সেই তালিকা। এহেন পরিস্থিতিতে কার্যতই খানিক কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। তাই খোদ শাসকদলের সাংসদের এই মন্তব্য যে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা