বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেপ্রেমীদের মুখে এখন শুধুই একটি ছবির স্তুতি, ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ (KGF Chapter 2)। কন্নড় ভাষার ছবিটির প্রথম অংশই প্রত্যাশার মাত্রা বাড়িয়েছিল। ২০১৮ তে মুক্তি পেয়েছিল ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ১’। রকি ভাই তখন থেকেই দর্শকদের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করেছিলেন। তার ফলাফল, চার বছর পর সিক্যুয়েল ছবি ব্লকবাস্টার হিট।
মুক্তির পর নয় দিনের মধ্যেই গোটা দেশের নিরিখে ৭৫০ কোটি ছুঁয়ে ফেলেছে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ এর ব্যবসার অঙ্ক। পিছিয়ে নেই হিন্দি সংষ্করণটিও। এখনো পর্যন্ত ২৮০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে শুধুমাত্র হিন্দি সংষ্করণটি। রকি ভাই ওরফে যশ (Yash) ছাড়াও সমস্ত কলাকুশলীর প্রতিভা প্রশংসিত হয়েছে দর্শক মহলে।
দক্ষিণী ছবির অন্যতম জনপ্রিয়তার জায়গা ছবির সংলাপ এবং অ্যাকশন দৃশ্য। দুদিকেই সুপারহিট কেজিএফ চ্যাপ্টার ২। বিশেষ করে ছবিতে যশের ‘ভায়োলেন্স ভায়োলেন্স ভায়োলেন্স’ সংলাপটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেদারে মিম বানানো হচ্ছে সংলাপটিকে অদল বদল করে।
সম্প্রতি এক প্রখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময়ে এই সংলাপটি নিয়েই একটি প্রশ্নের মুখে পড়েন যশ। সাংবাদিক দাবি করেন, এই সংশ্লিষ্প সংলাপটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে তা ‘আইকনিক’ হতে চলেছে। এমনকি ‘শোলে’ ছবির গব্বর সিংয়ের আইকনিক সংলাপ ‘কিতনে আদমি থে’র সঙ্গেও তুলনা টানেন তিনি।
যশের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, এই সংলাপটি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? রকি ভাইয়ের নায়কোচিত ব্যাপার স্যাপারকে আরো ফুটিয়ে তোলার জন্যই কি? উত্তরে বেশ মজার সুরেই অথচ বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দেন যশ, তাঁর মনে হয় এই সংলাপটির মধ্যে দিয়ে রকি ভাইয়ের কৌতুক ফুটে উঠছে। যতই যাই হোক না কেন, দর্শকরা তো থিয়েটারে সিনেমা দেখতে আসেন বিনোদনের জন্যই।
তাই যদি খুব গুরুগম্ভীর আলোচনা দেখানো হয় ছবিতে দর্শক সেটা পছন্দ করবে না। এরপরেই ‘ভায়োলেন্স’ এর জায়গায় ‘কন্ট্রোভার্সি’ বসিয়ে জনপ্রিয় সংলাপটি আবার বলে ওঠেন যশ, ‘কন্ট্রোভার্সি, কন্ট্রোভার্সি, কন্ট্রোভার্সি। আই ডোন্ট লাইক ইট। বাট কন্ট্রোভার্সি লাইকস মি, আই কান্ট অ্যাভয়েড।’