ভীতর থেকে বন্ধ ছিল দরজা, জোর করে খুলতেই হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী হল মা!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় আবারও এক নাবালিকা ওপর নির্যাতনের অভিযোগ। জলপাইগুড়িতে এক নাবালিকাকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত গণধোলাই দিয়ে এলাকাবাসীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনার কেন্দ্রস্থল জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি থানার অন্তর্গত বিন্নাগুড়ি এলাকা। সোমবার 52 বছর বয়সী প্রৌঢ় ধীরেন বর্মন এলাকারই এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। শুরুতে বাধা দিলেও শেষ পর্যন্ত ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি নাবালিকা জানিয়েছে যে, তাকে এর পূর্বেও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত ব্যক্তি।

এদিন নাবালিকার মা পুরো ঘটনাটি লক্ষ্য করার পরেই সামনে আসে আসল সত্য। দিনমজুরি করে কোনরকমে সংসার চালায় তার পরিবার। নাবালিকার মা এদিন জানান, “আজ কাজ না পাওয়ার কারণে আমি দুপুর হতেই বাড়ি চলে আসি। কিন্তু এসে দেখি আমাদের বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ! এটা দেখে প্রথমে আমি ভয় পেয়ে যাই এবং অনেক ধাক্কাধাক্কি করার পর দরজাটি খুলে যায়। এরপরই আমি লক্ষ্য করি ধীরেন বর্মন আমাদের বাড়ি থেকে পালাচ্ছে। আমি তার পেছনে ছুটে যাওয়ার সাথে সাথে সে আবার আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বলে যে, কিছুই নাকি হয়নি।”

নাবালিকার মা আরো জানান যে, ঘরে ঢুকে তিনি তার মেয়েকে সমস্ত ব্যাপার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় নাবালিকাটি সব সত্য খুলে বলে। সে জানায়, কিভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং এর পূর্বেও সে এহেন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় কিশোরী মেয়েটি। সমস্ত ঘটনা সামনে আসার পরে অভিযুক্ত ধীরেন বর্মনকে ঘিরে ফেলা হয় এবং সকল এলাকাবাসী মিলে তাকে গণধোলাই দেয়। এরপর এলাকাবাসীরা মিলে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে নাবালিকাটির অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর