বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান যুগে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশাপাশি, পাল্টেছে মানুষের চিন্তাভাবনাও। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে পেশাগত দিকে। এখন অনেকেই প্রথাগতভাবে চাকরির পথে না হেঁটে বিভিন্ন যুগোপযোগী ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। আর সেগুলিতে মিলছে সফলতাও। খুব সহজেই ভালো অঙ্কের রোজগারের মাধ্যমে এই ব্যবসায়িক দিক গুলি খুলে দিচ্ছে নতুন নতুন দিগন্তও।
ঠিক সেইরকমই এক ব্যবসায় সফল হয়েছেন রাঁচির রাতুতে বসবাসকারী নিশান্ত কুমার। মূলত, নিশান্ত তাঁর দুই পার্টনারের সাথে মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এমনকি, তিনি MBA পাশ করে একটি কোম্পানিতে চাকরিও করেছিলেন। যদিও, সেখানে মন বসছিলনা তাঁর। যে কারণে তিনি শুরু করেন এই উদ্যোগ।
এখন, নিশান্ত এবং তাঁর পার্টনারেরা এই ব্যবসার ওপর ভিত্তি করেই প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছেন। বর্তমান প্রতিবেদনে তাঁর এই সফলতার কাহিনি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করা হল।
জানা গিয়েছে যে ২০১৮ সালে, নিশান্ত কুমার তাঁর চাকরি ছেড়ে দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে বায়োফ্লোকের পাশাপাশি বিভিন্ন জলাশয়ে ও পুকুরে মাছ চাষ করে তাঁরা শুধু উপার্জনই করছে না, পাশাপাশি তাঁরা তৈরি করেছেন কর্মসংস্থানের সুযোগও। এছাড়াও, তাঁদের এই কাজ উদ্বুদ্ধ করছে অন্যান্য ইচ্ছুক মানুষদেরও। নিশান্ত মূলত, ইন্দোনেশিয়ায় মাছ চাষের কৌশল শিখেছেন এবং এখন তিনি ৭৪ টি বায়োফ্লোক এবং অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ কেজি মাছ বাজারে বিক্রি করছেন।
আর এভাবেই তাঁর মাসিক আয় পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ টাকায়। এই প্রসঙ্গে নিশান্ত জানান, তিনি অনেক ধরনের মাছ চাষ করেছেন এবং এই ব্যবসার জন্য পুকুরেরও কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু কৃত্রিম ট্যাঙ্কেও মাছ চাষ করা যায়। মূলত, বায়োফ্লোক হল একটি কৃত্রিম ট্যাঙ্ক যেখানে ১৫ হাজার লিটার জলে ৩০০ টি মাছ খুব সহজেই থাকতে পারে।
নিশান্তের মতে, তাঁরা এখন রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, দেশি মাঙ্গুর, মনোসেক্স তেলাপিয়া, ভিয়েতনামি এবং গোল্ডেন কার্প সহ একাধিক মাছের চাষ করেন। এই ট্যাঙ্কে মাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণে প্ৰতি মাসে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তিনি আরও বলেন যে, এই মাছগুলি তৈরি হতে প্রায় ৩ মাস সময় লাগে এবং এগুলি যখন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম হয়, তখন ওজন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়।
আপাতত, নিশান্ত গুজরাটে তাঁর একটি বড় কোম্পানি স্থাপন করতে চান। যেখানে তিনি আরও বেশি লোককে নিয়োগ করতে পারবেন এবং বড় আকারে মাছও চাষ করতে পারবেন।