বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেমা ভাগ্য বেশ ভাল যাচ্ছে দেবের (Dev)। গোলন্দাজ, টনিক (Tonic) আর এখন কিশমিশ (Kishmish), সব ছবিই সুপারহিট। বলিউড, হলিউডকে টেক্কা দিয়ে বাজার ধরে রেখেছিল দেব ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘টনিক’। গত ২৯ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে দেব রুক্মিনীর ‘কিশমিশ’। এর মধ্যেই নাকি টনিককে ছাপিয়ে যাচ্ছে নতুন ছবি।
মুক্তির দিনই শো হাউজফুল হওয়ার সুখবর পেয়েছেন দেব। এক সপ্তাহ পরেই সাফল্য অব্যাহত। উৎফুল্ল দেব রুক্মিনী। পরপর সব ছবি সুপারহিট হওয়ার পেছনে দেবের দাবি, নতুন পরিচালকের কেরামতি। উপরন্তু সবাই যখন রহস্য রোমাঞ্চর পেছনে ছুটছে তখন দেব ভরসা রেখেছিলেন ভালবাসার গল্পে।
অভিনেতার কথায়, জুয়া খেলে জিতেছেন তিনি। করোনা পরবর্তী কালে বাংলা ছবির হাল ফিরিয়েছিল টনিক। ১০০ দিন ধরে চলেছিল সেই ছবি। কিশমিশ এই কদিনেই টেক্কা দিয়ে দিয়েছে টনিককে। তাঁর আগের ছবি চার দিনে যে পরিমাণ টাকা তুলেছিল কিশমিশ সেটা এক দিনেই তুলে নিয়েছে, গর্বিত দেব।
অবশ্য ছবির প্রচারের পেছনেও অনেক খেটেছেন দেব রুক্মিনী। কখনো মেট্রোয় উঠে প্রচার সেরেছেন, আবার কখনো প্রেমিকা রুক্মিনীর সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের রোম্যান্স করিয়েছেন। নিজেও প্রসেনজিৎ তৃষাণজিতের সঙ্গে রিল বানিয়েছেন।
রান্নাঘর, দিদি নাম্বার ওয়ান, দাদাগিরি কোনো কিছুই বাদ দেননি দেব। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে জিতের রিয়েলিটি শো ‘ইসমার্ট জোড়ি’তেও প্রচারে গিয়েছেন দেব রুক্মিনী। কিশমিশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বাংলা ছবিগুলিরও প্রচার করেছেন। ভাগ্য সহায় হয়েছে দেবের।
কিশমিশ দেখে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন অভিনেতার বাবা গুরুদাস অধিকারী। একটি কাগজে গোটা গোটা অক্ষরে তিনি লিখেছেন, ‘কিশমিশ সুপার ডুপার হিটস, নাম্বার ১!’ কাগজটি নিয়ে দরজায় সাঁটিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভিডিওতে বাবার কাণ্ড দেখিয়ে দেব লিখেছেন, আজ পর্যন্ত তাঁর ৩৯ বছরের এই জীবনে বাবা একটি চিঠিও লেখেননি তাঁকে। এটা তাঁর কাছে অস্কার পাওয়ার মতোই।