‘বড় নেতারা ঠিক নিজেদের সেটিং করে নেয়, কখনো এ দলে কখনো ও দলে’! বেফাঁস দেব

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘টনিক’ এর পর ‘কিশমিশ’ও (Kishmish) হিট। মা লক্ষ্মী অচলা হয়ে রয়েছেন দেবের (Dev) প্রযোজনা সংস্থায়। দু বছর ধরে অপেক্ষার পর অবশেষে সিনেমা হলে কিশমিশ। মুক্তির আগে একটা লম্বা সময় প্রচারের জন‍্য দিয়েছেন দেব রুক্মিনী। পরিশ্রম যে সফল তা বলে দিচ্ছে হলের দর্শক সংখ‍্যাই।

আদ‍্যোপান্ত প্রেমের গল্প কিশমিশ। যখন সবাই রহস‍্যের পেছনে ছুটছে তখন ঝুঁকি নিয়ে লভস্টোরি পরিবেশন করেছেন প্রযোজক দেব। টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, তিনি সবসময় চেষ্টা করেন নতুন কিছু করার। বিভিন্ন রকমের ছবি করার। গল্পটা শুনেই তাঁর মনে হয়েছিল যে এটা নিয়ে ছবি তৈরি করা উচিত।

vcbccb
কিশমিশের ট্রেলার দেখেই একটি দৃশ‍্যে চোখ আটকেছিল সবার। লাল ঝান্ডা হাতে সিপিআইমের মিছিলে স্লোগান দিতে দিতে হাঁটছেন তৃণমূল সাংসদ দেব। দৃশ‍্যটির স্ক্রিনশট ভাইরাল হতে সময় লাগেনি বেশি। ছবির মুক্তির আগেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন দেব।

অভিনেতার উত্তর, কাউকে অসম্মান করতে চাননি তিনি। শুনু বাস্তব চরিত্রগুলিকে তুলে এনেছেন। এমন অনেকেই আছেন যারা সত‍্যিই ‘দিদি’কে পুজো করেন। আবার তাঁর বাড়ির লোক এটা নিয়ে রেগে যায়। দেবের কাছে, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। তিনি কোন দলের সেটা তাঁর পরিচয় হতে পারে না। ব‍্যবহারই হোক মানুষের আসল পরিচয়।

দেব বলেন, “নিজের দলের হয়েও যখন প্রচারে যাই তখন এই কথাটাই বলি। বড় বড় নেতারা ঠিক নিজেদের সেটিং করে নেবে। কখনো এ দলে তো কখনো অন‍্য দলে। সমস‍্যাটা গ্রাসরুট লেভেলের রাজনীতিবিদদের। তাঁরা এমন শত্রুতা তৈরি করে নেয় যা সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করে না। নেতাদের কাজ মানুষকে লড়ানো নয়, বাঁচানো। আমি এই বার্তাটাই দিতে চাই, রাজনীতির মধ‍্যে থেকেও মানুষ যেন ভালবেসে থাকে।”

এর আগেও সাংবাদিক সম্মেলনে দেব বলেছিলেন, “একটা দলকে ভালবাসা, সেই দলের প্রশংসা করা বা দলের সঙ্গ নেওয়া তার মানে এই নয় যে বাকিরা তোমার শত্রু। আমি সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যেদিন সেটা বিশ্বাস করতে শিখব সেদিন রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি কথা দিলাম।”

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর