বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সমগ্ৰ দেশজুড়েই আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই এই ধরণের একাধিক ঘটনা উঠে আসে খবরের শিরোনামে। কিন্তু, এবার যা ঘটেছে তা শুনে কার্যত স্তম্ভিত হয়েছেন সকলেই। আত্মহত্যার জন্য টাওয়ারে উঠে গেলেও বোলতার আক্রমণে রীতিমত ভেস্তে গেল সেই ছক। আর এভাবেই প্রাণেও বেঁচে গেলেন এক মহিলা।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে কেরালায়। জানা গিয়েছে যে, সন্তানকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে মোবাইলের টাওয়ারে উঠে বসেছিলেন এক মহিলা। তিনি বলেছিলেন, সন্তানকে তাঁর কাছে ফেরাতে হবে, না হলেই আত্মহত্যা করবেন তিনি। কিন্তু, বোলতার তাড়া খেয়ে শেষমেশ টাওয়ার থেকে নেমে আসতে বাধ্য হলেন ওই মহিলা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গত সোমবার ঠিক সন্ধ্যা নাগাদ কেরলের আলাপুঝায় আচমকাই এক মহিলাকে সটান মোবাইল টাওয়ারে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি, চিৎকার করে ওই মহিলা বলতে থাকেন, তাঁর স্বামী যদি সন্তানকে তাঁর হাতে তুলে না দেন, তা হলে টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন তিনি।
এদিকে, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দলও এসে পৌঁছয়। বারংবার মহিলাকে নিচে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করা হলেও তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি অবিচল থাকেন। এমতাবস্থায়, যখন কেউই ওই মহিলাকে নিচে নামিয়ে আনতে পারছিলেন না তখন কার্যত বোলতার ঝাঁকের সৌজন্যেই নেমে আসেন তিনি।
মূলত, ওই মহিলার টাওয়ারে উঠে যে জায়গায় বসেছিলেন ঠিক তার কিছুটা দূরেই ছিল বোলতার একটি বিশাল চাক। সন্ধ্যা হওয়ায় ওই মহিলা সেই চাকটিকে দেখতে পাননি। তবে, আচমকাই বোলতার একটি ঝাঁক সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করে মহিলাটিকে।
এমতাবস্থায়, আত্মহত্যার পরিকল্পনাকে দূরে সরিয়ে রেখেই কার্যত চিৎকার করতে করতে প্রাণ বাঁচাতে নিচে নেমে আসেন তিনি। এদিকে, বোলতার ঝাঁকটিও তাঁকে অনুসরণ করেই নিচে নেমে আসতে থাকে। ঠিক তখনই কয়েক ফুট উপর থেকেই লাফ মারেন ওই মহিলা। যদিও, সৌভাগ্যবশত উদ্ধারকারীরা নীচে জাল ধরেই দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি ওই জালের উপর পড়ার পরই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি বোলতার ঝাঁক আক্রমণ না করত তা হলে হয়তো ওই মহিলা টাওয়ারের উপরেই বসে থাকতেন। এদিকে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আর এভাবেই বোলতার ঝাঁকের সৌজন্যেই বেঁচে গিয়েছে ওই মহিলার প্রাণও!