বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চলতি মরশুমে চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলেছিল গুজরাট টাইটান্স। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে দুটি ম্যাচ হেরে একটু ধাক্কা খেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। কিন্তু সেই সব হারের ধাক্কা কাটিয়ে দলে কিছু পরিবর্তন করতেই আজ দুরন্ত ফর্মে থাকা লখনউয়ের ওপর কার্যত স্টিমরোলার চালিয়ে দিলো গুজরাট। লো স্কোরিং ম্যাচে রশিদের বোলিং, শুভমান গিলের ব্যাটিং এবং ঋদ্ধিমানের কিপিংয়ে ভর করে ৬২ রানে লখনউ সুপারজায়ান্টসকে উড়িয়ে দিলো গুজরাট টাইটান্স।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি গুজরাট টাইটান্স। ফর্মে থাকা ওপেনার ঋদ্ধিমান মাত্র ৫ রানে মহসিন খানের শিকার হন। দলে ফেরা ম্যাথু ওয়েড আজ ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। শুরুর দিকে দুরন্ত ছন্দে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার আপাতত অফফর্ম চলছে। ১৩ বলে মাত্র ১১ রান করে তিনি ওয়েডের মতোই আবেশ খানের বলে আউট হন।
উইকেট পড়তে থাকলেও একটা দিক ধরে রেখেছিলেন শুভমান গিল। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন ডেভিড মিলার। তিনি ২৪ বলে ২৬ রান করে ফেরার পর রাহুল তেওটিয়া গিলের সাথে যোগ দেন। দুজনে মিলে গুজরাটকে পৌঁছে দেন ১৪৪ রানের স্কোরে। গিল ৪৯ বলে ৬৩ রানের ধৈর্য্যশীল এবং উপযোগী একটি ইনিংস খেলেন। মেরেছিলেন ৭টি চার। ৪ টি চার সহ ১৬ বলে ২২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন রাহুল তেওটিয়া। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আবেশ। মহসিন খান ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে আজকে দলে আসা যশ দয়াল কুইন্টন ডি কক-কে দলগত ১৯ রানে ফিরিয়ে প্রথম ঝটকা দেন লখনউকে। মারাত্মক বোলিং করতে থাকে মহম্মদ শামি নতুন বল হাতে ৩ ওভার বল করে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে তোলেন রাহুলের উইকেট। এরপর দীপক হুডা (২৭) ছাড়া কেউই কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। আজ গুজরাটের হয়ে অভিষেক করা সাই কিশোরও দুরন্ত বোলিং করে তুলে নেন ২টি উইকেট। ২ উইকেট পান যশ দয়াল-ও। ২ টি ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং আয়ুশ বাদোনিকে স্টাম্প করে দুরন্ত কিপিং প্রদর্শন করেন ঋদ্ধিমান। ১৪ ওভারের মধ্যে ৮২ রান করে অলআউট হয়ে যায় লখনউ। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান প্রায় নিশ্চিত গুজরাটের।