বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুই প্রাপ্তবয়স্ক যুবক-যুবতী নিজের ইচ্ছায় কি বিয়ে করতেও সক্ষম নয়, সেক্ষেত্রে তাদের কি দরকার পড়বে শাসকদলের অনুমতি! এহেন প্রশ্নই বর্তমানে উঠে এসেছে আলিপুরদুয়ারের তুফানগঞ্জ এলাকা থেকে, যেখানে শাসকদলের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিষপান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল আলিপুরদুয়ারের তুফানগঞ্জের শালবাড়ি নাগুর হাট এলাকা। সূত্রের খবর, কিছুদিন পূর্বে 28 এবং 26 বছর বয়সী দুই যুবক যুবতীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলার পর তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রথম থেকেই তাদের এই প্রেমের বিরুদ্ধে ছিল মেয়েটির পরিবার। অভিযোগ উঠতে শুরু করে যে, মেয়ের পরিবারের তরফ থেকেই শাসক দলকে এই খবর জানানো হয় এবং পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতারা সেই দম্পতিকে ভয় দেখানো শুরু করে। পরিস্থিতি এতটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকে যে, এরপর সেই যুবক যুবতী ভাটিবাড়ি এলাকায় তাদের মামার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেও রক্ষা পায়না তারা।
গতকাল স্থানীয় থানার পুলিশ তাদেরকে ডেকে পাঠায় বলে অভিযোগ। এরপরে আর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তারা থানা থেকে বেরিয়েই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীকালে অবশ্য তাদেরকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা রানা পালের সহযোগিতায় রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
সম্পূর্ণ ঘটনায় শাসক দলের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে এক বিজেপি নেতা বলেন, “তৃণমূল দলের নেতা এবং পুলিশ মিলে ঘৃণ্য কাজ করে চলেছে। মেয়ের বাড়ি ও শাসকদলের সহযোগিতায় এই ঘটনা ঘটেছে। ওদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন করা হোক।” সম্পূর্ণ ঘটনায় ওই যুবনেতা রানা পালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এলাকাবাসীরা। স্বভাবতই, এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। এক্ষেত্রে অবশ্য শাসক দল কিংবা মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো রকম মন্তব্য করা হয়নি।