মন্ত্রী-কন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় খুশি ববিতা! তবে কমিশন নিয়ে তুললেন প্রশ্ন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যাকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আদালতে মামলা করেছিলেন তিনি। আজ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অবশেষে জয়লাভ করলেন মামলাকারিণী ববিতা সরকার। তবে এর মধ্যেও রয়ে গেলো এক প্রশ্ন, “বিচারপতির রায় শেষ পর্যন্ত বাস্তবে কী ঘটতে দেখা যাবে?”

নিজের মেয়েকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারী ও তার কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ববিতা সরকার। আজ সেই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে জানান, “বর্তমানে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো অঙ্কিতা অধিকারীকে। নিজেকে আর শিক্ষক হিসেবে দাবি করতে পারবে না অঙ্কিতা। এমনকি স্কুলে ঢুকতেও পারবে না সে। এতদিন পর্যন্ত পাওয়া সমস্ত বেতন অঙ্কিতাকে ফেরত দিতে হবে।” এ বিষয়ে তাকে দুটি কিস্তিতে টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।

এদিন নির্দেশে বিচারপতি বলেন, “অঙ্কিতার স্থানে ববিতা সরকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।” যদিও  এরপর মামলাকারিণী প্রশ্ন তোলেন, “আদালতের রায় অনুযায়ী কমিশন কি ব্যবস্থা নেবে?”

গত চার বছর ধরে লড়াই করে চলেছেন ববিতা সরকার। 2016 সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন তিনি। অভিযোগ, 2017 সালের এসএসসিতে প্রথম মেধা তালিকার 20 জনের মধ্যে নাম না থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় তালিকায় আচমকাই নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় অঙ্কিতার। এক্ষেত্রে, ববিতার নাম প্রথম লিস্টে থাকলেও তাঁকে দ্বিতীয় তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ববিতা জানান, “আমার প্রাপ্ত নম্বর 77 হওয়া সত্ত্বেও আমাকে বাদ দিয়ে মাত্র 61 নম্বরেই সুযোগ দেওয়া হয় মন্ত্রী-কন্যাকে। কোনো রকম ইন্টারভিউ না দিয়েই সুযোগ পায় ও। এই চাকরি আমার পাওয়ার কথা ছিলো।”

তবে বর্তমানে আদালতের রায়ে খুশি ববিতা। তবে তাঁর একটাই প্রশ্ন, “বিচারপতি আমার কাছে ভগবানের মতো। আমি দীর্ঘ 4 বছর ধরে চেষ্টা করে চলেছি। এই চাকরি আমার পাওয়ার কথা ছিলো। আমি বিচারপতিকে অনুরোধ করবো, যাতে আমার প্রতি সুবিচার হয় এবং কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর