বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভুয়ো মেমো নম্বর নিয়ে চলছিল 100 দিনের প্রকল্পের কাজ আর এই খবর সামনে আসতেই উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন বিডিও। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার ইংলিশ বাজার ব্লকের যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে, যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।
বেশ কিছুদিন ধরে 100 দিনের কাজ প্রসঙ্গে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল এলাকায়। এরপর জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রর কানে ঘটনাটি গেলে তদন্ত করার নির্দেশ দেন তিনি আর তদন্ত শুরু করার পরেই অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং নোডাল অফিসার অভিষেক চক্রবর্তীর হাতে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভুয়ো মেমো নম্বর দুর্নীতিতে সরকারি কর্মচারীদের যুক্ত থাকারও সন্দেহ করা হয়। পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে মালদহের জেলাশাসক বলেন, “প্রশাসন অনুমতি না দিলে একশো দিনের প্রকল্পের কোন কাজ শুরু করা যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের কাছে সম্প্রতি একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। তারপরে আমি ইংরেজ বাজারের বিডিওকে তদন্ত করার নির্দেশ দিই। বর্তমানে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।” তবে অভিযোগের মূল কেন্দ্রে কাদের নাম রয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
গোটা ঘটনার শাসকদলের জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি। তিনি বলেন, “ভুয়ো মেমোর কথা বলা হলেও আমার মনে হয় এগুলি সঠিক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভয়ে এগুলিকে ভুয়ো বলে চালানো হচ্ছে। এর আগেও এখানে প্রকল্প গুলিতে কোনো কাজ হয়নি। শাসক দলের বিভিন্ন সদস্যরা আর্থিক নয়-ছয় করে চলেছে। আমরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামব। এমনকি প্রয়োজন হলে রাজ্য নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ ঘটনা জানাবো।”
বিজেপির এই দাবির পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। মালদহ জেলার তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনোই দুর্নীতির সঙ্গে সমঝোতা করেন না। যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের আমরা ছাড়বো না।”