বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এর আগের দুই বছরের চেয়ে অনেক আগেও কেটে গেল ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলা নিয়ে জট। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দু বছর আগে শতবর্ষ পূরণ করা ক্লাবের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ইমামি গোষ্ঠী। ২৫শে মে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে লাল-হলুদ ক্লাব কর্মকর্তা এবং ইমামি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই বড় ঘোষণা করেছেন। এর ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে লাল-হলুদ ভক্তদের মধ্যে।
গতবারের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের কপালে ইনভেস্টর জুটলো। এর ফলে ২০২২-২৩ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে সংশয় থাকল না ঠিকই কিন্তু বারবার একটি ক্লাবের সমস্যার সমাধানে কেন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে ইমামির ক্ষেত্রে ব্যাপারটি হলো যে তারা আগেও ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর হিসেবে বিনিয়োগ করেছেন। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগায় খুশি দু’পক্ষই।
এই বিষয় নিয়ে নিজের বক্তব্য রেখেছেন মমতা ব্যানার্জিও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দুই পক্ষ আজ চা খেতে এসেছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে অংশগ্রহণ নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল যেটা দায়িত্ব নিয়ে মিটিয়ে দিয়েছি। দুই পক্ষই উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কি চুক্তি হবে সেটা ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তারপর ঠিক করে নেবে।’’
গত চার বছরে মোট দুটি ইনভেস্টর গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক খারাপ করেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। যার ফলে মেয়াদের শেষদিকে দুই বিনিয়োগকারী, কোয়েস গোষ্ঠী এবং শ্রী সিমেন্ট গোষ্ঠী দলগঠন সহ আরও নানান বিষয়ে অনীহা দেখিয়েছিল। নিন্দুকদের অভিযোগ ছিল ক্লাব কর্মকর্তা এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের কাটমানি খাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ইনভেস্টর গোষ্ঠীর সাথে সহযোগিতা করেননি। ক্লাব কর্তারা সেই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছিলেন যে ইনভেস্টর গোষ্ঠী যে চুক্তি করতে চাইছে তাতে ক্লাবের অমঙ্গল হবে। এবার ইমামির সাথে ক্লাব কর্তাদের সম্পর্ক কিরকম হয় তা দেখতে উৎসুক ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা।