জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একইসাথে ৯ সন্তানের জন্ম, সেলিব্রিটি হয়ে গেলেন এই মহিলা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সারা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে কোথায় কি ঘটছে তা এক লহমায় জানতে পারি আমরা। তবে মাঝে-মধ্যে সেখানে এমন কিছু ঘটনা সামনে আসে যা কার্যত অবাক করে দেয় সবাইকে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক অবিশ্বাস্য প্রসঙ্গ সামনে এল। সম্প্রতি মালিতে বসবাসকারী এক মহিলা একইসঙ্গে ৯ জন সন্তানের জন্ম দিয়ে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। এমনকি, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি সেলিব্রিটিও হয়ে গেছেন তিনি।

তবে, এই ঘটনা কিন্তু প্রথমবারের জন্য ঘটেনি। বরং, এর আগেও দু’বার একসাথে ৯ সন্তানের জন্ম দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে বিশ্বে। যদিও, দু’টি ক্ষেত্রেই জন্মের কয়েকদিনের মধ্যে মারা যায় শিশুরা। এমতাবস্থায়, এটাই প্রথম ঘটনা যেখানে একসঙ্গে ৯ টি শিশুর জন্মের পর তারা সবাই বেঁচে আছে এবং সুস্থ রয়েছে। পাশাপাশি, সম্প্রতি ওই ৯ শিশুর প্রথম জন্মদিন পালিত হয়েছে। এছাড়াও, তাদের ছবিগুলিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে।

১০ জন ডাক্তারের একটি দল প্রসব করিয়েছিলেন:
জানা গিয়েছে যে, পশ্চিম আফ্রিকার মালি দেশের হালিমা সিসে নামের এক মহিলা ২০২১ সালের ৪ মে একসাথে ৯ টি সন্তানের জন্ম দেন। তাদের মধ্যে ৪ জন মেয়ে ও ৫ জন ছেলে রয়েছে। এমতাবস্থায়, প্রসবের সময়ে বিশেষ যত্নের জন্য হালিমাকে মালি সরকার মরক্কোতে পাঠিয়েছিল। যে মেডিকেল টিমটি প্রসবের কাজে সাহায্য করেছিল সেখানে ১০ জন ডাক্তার, ১৮ জন নার্স এবং ২৫ জন প্যারামেডিক্যাল স্টাফ ছিলেন।

ছিল জীবনের ঝুঁকি:
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই কঠিন প্রসবের সময় হালিমার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিতে ছিল। এমনকি, হালিমাকে এখনও বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে শিশুদের সঙ্গে। হালিমার স্বামীর নাম কাদের আরাবে। তিনি মালির সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন।

এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ:
কাদেরের মতে, সব শিশুই ভিন্ন প্রকৃতির। তাদের কেউ হামাগুড়ি দিতে শুরু করেছে আবার কেউ বসতে পারে। আবার কিছু শিশু ধীরে ধীরে হাঁটতেও শুরু করেছে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, তারা বিখ্যাত কার্টুন “বেবি শার্ক” দেখতে ভালোবাসে। তবে, সমস্ত শিশুদের একসঙ্গে ঘুম পাড়ানোটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা সামনে আসার পরই নেটিজেনরাও ওই শিশুদের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন। পাশাপাশি, তাদের জন্মদিনে শুভকামনাও জানিয়েছেন তাঁরা।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X