বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক বছর যাবৎ ভারতীয় কূটনীতি এবং বিদেশ নীতিতে বহুল পরিবর্তন হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত এখন “ডিফেন্সিভ” অবস্থান থেকে সরে এসে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক রূপে পরিবর্তিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী কিছু দেশের প্রতিও ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমতাবস্থায়, এই পরিবর্তনের ঢেউ সব মহলেই পরিলক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি, নিরুপমা রাও-এর একটি রিপোর্ট থেকে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রসঙ্গ জানা গিয়েছে।
তিব্বতের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে সুর চড়াচ্ছে ভারত! পিছু হটছে চিনা সেনা:
ভারত প্রায়ই চাপা কণ্ঠে তিব্বতের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আগের মতো আর নেই। এই প্রসঙ্গে, “ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর তিব্বত টক”-এর অধীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চিনে থাকা নিরুপমা রাও ভারত সরকারকে একটি পরামর্শ দিয়েছেন যে, তিব্বত সংক্রান্ত এবার একটি নতুন এবং আরও ভালো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে। যা সত্যিই তাদের সাহায্য করতে পারে।
নিরুপমা রাও আরও বলেছেন যে, “আমাদের এখন শুধু কথা বলার চেয়ে নির্বাসিত তিব্বতি সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য আরও কিছু করা উচিত।” পাশাপাশি নেহরুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন যে, “আমাদের নীতি সেই ব্যক্তিদের হাতে ছিল যাঁরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না এবং এই কারণে তিব্বত সেই সময়ে চিনের অংশ হয়ে গিয়েছিল।” নিরুপমা রাও ভারত সরকারকে কোয়াডের মতো দেশগুলির সাথে চিনের কাছ থেকে তিব্বতকে মুক্ত করার পক্ষে সওয়াল জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ভারত ও তিব্বতের মধ্যে বহু শতাব্দী ধরে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে:
নেপাল ও ভুটানের মতো, এক সময় তিব্বতও ভারতের প্রতিবেশী দেশ ছিল এবং দীর্ঘকাল ধরে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কও ভালোভাবে বজায় ছিল। কিন্তু চিনের দখলের পর এই ভূখণ্ডের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও ভারত দালাই লামা সহ তিব্বতের অনেক নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু চিন এখনও এর বিরোধিতা করে সোচ্চার হয়নি। এমতাবস্থায়, ভারতীয় বিদেশ নীতির সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যে ধরনের ভাবনা ভাবছেন তার পরে এটা স্পষ্ট যে, ভারত চিনকে ভালোভাবেই জব্দ করতে চলেছে।