বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাবা-মা অনেকদিন ধরেই মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু মেয়ে নাছোরবান্দা। এদিকে, বাবা-মাও কথা শুনছেন না। সুপাত্রের খোঁজ শুরু হল। বাবা-মাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করলেন মেয়ে। কাজ হল না। তাই বাবা-মাকে নিজের অবস্থান বোঝাতে ‘কাণ্ড’ বাঁধালেন মেয়ে। অবশেষে ক্ষমা বিন্দু বিয়ে করতে রাজি হলেন। তবে নিজেকেই। এই দাম্পত্যে স্বামীও তিনি, স্ত্রীও।
এবার আসা যাক ঘটনার মূল প্রেক্ষাপটে৷ গুজরাতের ২৪ বছরের তরুণী নাম ক্ষমা বিন্দু৷ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান৷ বেশ স্বাচ্ছন্দেই গুজরাতে বেড়ে ওঠা ক্ষমার৷ এখন তাঁর যৌবনকাল৷ সাধ জেগেছে বিয়ে করার৷ কিন্তু কোনো ছেলের হাতে নিজেকে তুলে দিতে পারবেন না তিনি৷ তা বলে তিনি কিন্তু লেসবিয়ানও না৷ বাধ সাধল নিজের প্রতি ভালোবাসা৷ না, বালখিল্য নয়, ক্ষমা সমস্ত রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আগামী ১১ জুন বিয়ে।
বিয়ের সব আচার অনুষ্ঠান হবে। পাত্রী সাত পাক ঘুরবেন, সিঁদুর পরবেন ক্ষমা। শুধু বিয়ের আসরে কোনও পাত্র থাকবে না, আর থাকবেনা পাত্রপক্ষ, বরযাত্রী, ফারাক এটুকুই। গুজরাত কেন, গোটা ভারতই এমন বিয়ের সাক্ষী থাকেনি আগে কখনও। সারা দেশেই খুব সম্ভবত নিজেকে বিয়ে করার ঘটনা এই-ই প্রথম।
এই ‘নিজগামী’ সম্পর্কের বিষয়ে ক্ষমা বললেন, ‘‘আমরা নিজেদের সব থেকে বেশি ভালোবাসি, তাহলে নিজেকে নিজে বিয়ে কেন করতে পারবো না? আমি নিজেকে ভীষণ ভালোবাসি৷ তাই নিজেকে বিয়ে করতে আমার কোনো লজ্জা নেই৷ আমার মতে বিয়ে নারী-পুরুষের ভালোবাসার অঙ্গীকার হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ান৷ আমি সেটাই বিয়ের দিন করব৷ নিজেকে নিজে ভালো রাখার ও ভালোবাসার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হব৷ সেই সঙ্গে আমি প্রমাণ করে দেব একজন মহিলা পুরুষ ছাড়াও থাকতে পারে৷’
ক্ষমার পরিবার প্রগতিশীল। তাঁদের এ ব্যাপারে কোনও আপত্তি নেই। শুধু বিয়ে নয়, বিয়ের পর গোয়ায় এক সপ্তাহের হানিমুনেও যাচ্ছেন ক্ষমা। ২৪ বছরের এই তরুণী জীবনটা বেঁচে নিচ্ছেন একেবারে নিজের শর্তে।