বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়লা পাচার কাণ্ডে বহুদিন ধরেই ইডির নজরে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে একাধিকবার তলব এবং অপরদিকে আদালতে ইডির বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা মাঝে উত্তপ্ত থাকে পরিস্থিতি। সম্প্রতি তাদের বারণ সত্ত্বেও কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে দুবাই উড়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা আর এর মাঝেই বিতর্ক আরো বাড়িয়ে অভিষেকের গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখতে চলেছে ইডি। নজরদারি সংক্রান্ত ব্যাপারটি চরিতার্থ করতে আমিরশাহি সরকারের কাছে চিঠি লিখে আবেদন পর্যন্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অতীতেও একাধিকবার তলব করে ইডি। তবে গোয়েন্দা সংস্থার দফতরে হাজিরা দিলেও দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার ওপর সন্দেহ বজায় রয়েছে তাদের। এর মাঝেই সম্প্রতি চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দুবাই যাওয়ার অনুমতি চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে দেওয়ার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের নিকট দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা এবং পরবর্তীকালে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই দুবাই উড়ে যান তিনি।
তবে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, বিদেশে গিয়েও দুর্নীতিমূলক কোন কাজকর্ম করতে পারেন অভিষেক আর সেই কারণেই বর্তমানে আরব আমিরশাহি সরকারকে চিঠি দিয়ে তাঁর ওপর নজরদারি রাখার আবেদন জানিয়েছে ইডি। চিঠির মূল বিষয়বস্তু হল, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে চলেছে। সেই কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে ডাক্তার দেখানোর জন্য দুবাইতে গিয়ে পৌঁছেছেন তিনি। ফলে তাঁর গতিবিধির ওপর যেন নজর রাখে দুবাই সরকার।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিলেও আদালত দ্বারা একাধিক শর্ত দেওয়া হয়। বিমানের টিকিট, চিকিৎসক ও হোটেলের নাম সহ একাধিক তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় অভিষেককে। তবে এর মাঝেই ইডির নতুন করে এহেন পদক্ষেপ বৃহত্তর রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করলো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।