বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে একাধিক বিতর্ক মাঝে ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে চলেছে শাসকদলের আর এর মাঝেই পরিচারিকাকে ধর্ষণ এবং বলপূর্বক ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ উঠল কাটোয়া থানার পানুহাট-এর অন্তর্গত মন্ডলহাটের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী দিলীপ দেবনাথের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসতেই তার শাস্তির দাবিতে পোস্টার ফেলল ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।
অভিযোগ, প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্কে আসে এবং পরবর্তীতে দিনের পর দিন তার পরিচারিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় এই তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ক্রমশ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে চলেছিল পরিচারিকাটি। এক্ষেত্রে খুনের হুমকি দেওয়ার কারণে সে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি। পরবর্তীকালে 5 মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ভ্রূণ হত্যার চেষ্টাও করে দিলীপ দেবনাথ। এক্ষেত্রে বলপূর্বক অত্যাচার এবং পেটে লাথি মারারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যদিও এরপর মহিলাটি অসুস্থ হয়ে পড়লে আসল ঘটনা আসে সামনে। নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের তরফ থেকে দিলীপের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ধর্ষণ এবং ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই তৃণমূল নেতার উদ্দেশ্যে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে সূত্রের খবর, এরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই নেতা। বর্তমানে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে একাধিক পোস্টার ফেলেছে মানুষ। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতো ওই নির্যাতিতা মহিলা। আর সেখানেই তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে খারাপ ব্যবহার করে চলেছিল শাসকদলের ওই কর্মী।
যদিও বর্তমানে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই শাসকদলের পক্ষ থেকে তাকে দলের কর্মী হিসেবে মানতে অস্বীকার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি দলের এক নেতার কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের যেকোন প্রান্তে কেউ কোনো অন্যায় করলেই তাকে দলের কর্মী হিসেবে অস্বীকার করার সংস্কৃতি বহুদিন ধরেই দেখিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস দল। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”