বাংলাহান্ট ডেস্ক: কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন কেকে (KK)। এই আত্মগ্লানি থেকে এখনো বেরোতে পারছে না কলকাতাবাসী। এর মাঝেই আবারো এক মুম্বইয়ের শিল্পী আঙুল তুললেন নজরুল মঞ্চের (Najrul Mancha) দিকে। প্রকাশ্যে আনলেন ঐতিহ্যবাহী অডিটোরিয়ামের চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা।
অর্জুন কানুনগো (Arjun Kanungo), বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক এবং সুরকার। তিনি নিজেও গান গেয়েছেন কলকাতায়। তাও আবার ওই নজরুল মঞ্চেই। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠানের পর কেকের দূর্ভাগ্যজনক মৃত্যু নিয়ে মুখ খোলেন অর্জুন। আর মুখ খুলেই কার্যত বিষ্ফোরণ ঘটান। তিনি দাবি করেন, কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে এসে তাঁরও কেকের মতোই পরিস্থিতি হয়েছিল।
সংবাদ মাধ্যমকে অর্জুন বলেন, “আমি শুনেছি অডিটোরিয়ামের ভেতরে প্রচণ্ড গরম ছিল। আমি আগে ওই অডিটেরিয়ামে অনুষ্ঠান করেছি আর আমারো একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমি বোঝাতে পারব না কতটা গরম ছিল। এসিগুলো কাজ করছিল না। ওই পুরনো অডিটোরিয়ামগুলো ভাল ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।”
তিনি আরো বলেন, “অডিটোরিয়াম আরো ভাল।হওয়া উচিত ছিল। আমি জানি না আয়োজকরা বিষয়টা জানতেন কিনা। যদি তাঁরা লক্ষ্য করে থাকেন যে কেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন, তিনি যদি কিছু বলে থাকেন তাহলে অনুষ্ঠানটা ওখানেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। একটাই তো অনুষ্ঠান, কী যায় আসত!”
পাশাপাশি প্রতিটি অনুষ্ঠানে চিকিৎসক ও জরুরি ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন অর্জুন। একটি ঘটনার স্মৃতি শেয়ার করে তিনি জানান, অকল্যান্ডে আশা ভোঁসলের সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ করে বুকে ব্যথার অভিযোগ করেন বর্ষীয়ান গায়িকা।
তখন তাঁর ৭৭ বছর বয়স আর অর্জুন বছর ১৯ এর তরুণ। দ্রুত আয়োজকদের জানিয়েছিলেন অর্জুন। পেশাদারের মতো আশা ভোঁসলে গান শেষ করার পর চিকিৎসক তাঁকে দেখেন। অর্জুন বলেন, আয়োজকদের সবসময় এই বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকা দরকার। শিল্পী অসুস্থ হলে তাদেরই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
অর্জুন কানুনগোর এই মন্তব্যে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে নজরুল মঞ্চ ও আয়োজকদের ব্যবস্থাপনা। সেদিন অনেক বেশি লোক হওয়ার প্রমাণ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এসি গুলোও কাজ করছিল না। যদিও নিজেদের কাঁধ দায় এড়াতে চেয়েছে কলেজ ইউনিয়ন তথা আয়োজকরা।