বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও মায়ের শততম জন্মদিনে নিজের বাড়ি গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৮ জুন, অর্থাৎ শনিবার শতবর্ষে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী , সেই উপলক্ষ্যে এদিন সকালে গান্ধীনগরের বাড়িতে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। মায়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান মোদী, জন্মদিনে মায়ের পা ধুয়ে দেন তিনি। পা ছুঁয়ে মা’কে প্রণাম করেন তিনি, এছাড়াও মায়ের হাত থেকে খাবারও খান তিনি। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মায়ের আশীর্বাদ নিয়েছি। তিনি আরও জানান, “মা, শুধুমাত্র একটি শব্দ নয়, জীবনের অনুভূতি, যার মধ্যে ভালবাসা, ধৈর্য, বিশ্বাস, সমস্ত কিছু রয়েছে।”
মা হীরাবেন মোদীর শতবর্ষ জন্মদিন, সেই উপলক্ষ্যে শনিবার একটি ব্লগও লিখেছেন মোদী। সেখানেই জায়গা করে নিয়েছে ছোটবেলার ইদ এবং আব্বাসের গল্প। কিন্তু আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কে এই আব্বাস? আব্বাস হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাবার বন্ধুর তাঁর ছেলে । প্রধানমন্ত্রী তাঁর ব্লগে লিখেছেন, তাঁর বাবার বন্ধু অকালে মারা যান। তারপর সেই আব্বাসের ভার নিয়েছিলেন তাঁর বাবা। আব্বাস তাঁদের বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা শেষ করেছিলেন।
মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে তার লেখা এই ব্লগটিতে প্রধানমন্ত্রী যেন ডুব দিয়েছেন ছেলেবেলার নস্টালজিয়ায়। প্রধানমন্ত্রীর কলমে ফুটে উঠেছে তাঁদের গ্রাম, একান্নবর্তী পরিবার, একসঙ্গে হইহই করে থাকার গল্প আরো অনেক মজার দৃশ্য। মোদী পরিবারের ভাই-বোনদের সঙ্গেই কাটাতেন আব্বাস। তাঁকে কখনও আলাদা চোখে দেখা হয়নি বলেও ব্লগে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী লিখেছেন, “আমাদের ঘর ছিল খুব ছোট। কিন্তু আমার মায়ের বিরাট হৃদয় সকলকে আপন করে নিত।”সেইসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রতিবছর ইদের দিনগুলি আব্বাসের জন্য স্পেশাল হয়ে উঠত তাঁদের। কেন? কারণ, হীরাবেন ইদের দিন আব্বাসের জন্য পছন্দ মতো পদ রান্না করে দিতেন। আশপাশের লোকজনও আসতেন তাঁদের বাড়িতে।অনেকের মতে, মোদী এমন একটি সময়ে আব্বাসের কথা শোনালেন যখন বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ উঠছে তাঁরই দলের বিরুদ্ধে। নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ভারতের নিন্দা চলছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিকদের সব কিছুর পিছনেই কারণ থাকে। কে বলতে পারে বিভেদের ক্ষতয় প্রলেপ দিতেই আব্বাসের গল্প শোনানি মোদী।মায়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর পর বাড়ি থেকে রওনা হন মোদী।